বিপর্যস্ত ব্যাটিংয়ে হার দিয়ে সুপার ফোর শুরু সাকিবদের

৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিপর্যস্ত ব্যাটিংয়ে হার দিয়ে সুপার ফোর শুরু সাকিবদের

ব্যাটিং ব্যর্থতায় টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচের মতো সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচও হার দিয়ে শুরু করল বাংলাদেশ। সহ-আয়োজক পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল।

বড় স্কোর তুলতে না পারার ব্যর্থতায় শুধু হার নয়, সাকিবরা অনেকটা পিছিয়ে পড়ল নেট রান রেটেও, যা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে টুর্নামেন্টের শেষ দিকে।

বুধবার লাহোরে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৮ ওভার ৪ বলে ১৯৩ রানেই থামে বাংলাদেশ। পাকিস্তান ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ৩৯ ওভার ৩ বলেই।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাবলীল ভঙ্গিতে খেলতে থাকে ওপেনাররা। তবে শুরুতেই বাবরদের চাপে ফেলার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের হাতে। চতুর্থ ওভারে ফখর জামানের ব্যাটের কানায় লাগা বলটি তালুবন্দি করতে পারেননি স্লিপে থাকা মোহাম্মদ নাঈম। দশম ওভারের প্রথম বলে সেই শরিফুল ইসলামের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন ফখর।

দলীয় ৭৪ রানের মাথায় অধিনায়ক বাবর আজমকে ফেরান আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। নিজের শেষ পাঁচ ওডিআই ম্যাচে ফিফটি বা সেঞ্চুরি ছাড়াই সাজঘরে ফিরেন একদিনের ক্রিকেটের এক নম্বর এই ব্যাটার।

মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে কাজটা এগিয়ে নেন আরেক ওপেনার ইমাম-উল-হক। ৮৪ বলে ৭৮ রান করে মিরাজের বলে বোল্ড হলে ভাঙে তাদের ৮৫ রানের জুটি।

৬৩ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাবরের দল।

পাকিস্তান পেসার রউফ নেন চারটি উইকেটএর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় টাইগাররা। প্রথম ওভার মেইডেনের পর পরের ওভারের প্রথম বলেই রানের খাতা না খুলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মেহেদী হাসান মিরাজ।

আরেক ওপেনার নাঈমকে নিয়ে দেখেশুনে খেলতে থাকেন অসুস্থতা কাটিয়ে দলে ফেরা লিটন দাস। তাদের ৩১ রানের জুটি ভাঙেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১৬ রানে ফেরেন লিটন।

দলীয় ৪৫ রানের মাথায় নাঈমকে ফেরান হারিস রউফ। নিজের পরের ওভারেই টুর্নামেন্টে অফ-ফর্মে থাকা তাওহীদ হৃদয়ের উইকেটও তুলে নেন এই পেসার।

এরপর মুশফিককে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছিলেন সাকিব। তবে শতরানের জুটি গড়েই টাইগার অধিনায়ক ফখরকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে আবার চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

ওডিআই ক্যারিয়ারের নিজের ৫৪তম ফিফটি তুলে ৫৭ বলে ৭ চারে ৫৩ রান করে ফেরেন সাকিব।

মুশফিক এক প্রান্ত সামলে থাকলেও অপর প্রান্তে যাওয়া আসার মধ্যেই ছিলেন ব্যাটাররা। দলীয় ১৯০ রানের মাথায় রউফের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে বড় শট খেলতে যেয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন মিডল-অর্ডারের এই ব্যাটার। ৮৭ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রান তার।

শেষ তিন উইকেটে আসে কেবল তিন রান। ৬ ওভারে ১৯ রানে চার উইকেট শিকারে ম্যাচ সেরার খেতাব জেতেন রউফ। নাসিম শাহ নেন তিন উইকেট।

আগামী শনিবার কলম্বোতে বেলা সাড়ে তিনটায় সুপার ফোরের নিজেদের পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে সাকিব-মুশফিকরা।

মন্তব্য করুন: