সুপার ফোরে টানা দ্বিতীয় হার বাংলাদেশের
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আরও একটি হতাশাজনক হার দেখল সাকিবের দল। ব্যর্থতা আবারও সেই ব্যাটিংয়েই। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত পারফর্মের পর ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
শনিবার কলম্বোতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৫৭ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে এক প্রান্ত মোহাম্মদ নাঈম ধীরস্থিরভাবে ধরে রাখলে আরেক প্রান্তে সাবলীলভাবে খেলতে থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
তবে বিপত্তি আসে প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষের পর। ২৯ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন টপ-অর্ডারের চার ব্যাটার।
৫৫ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। টানা কয়েকটি লেনথ বলের পর শানাকার শর্ট বলটি ঠিকঠাক মাপতে পারেননি মিরাজ। ২৯ বলে ২৮ রান করে ফেরেন এই অলরাউন্ডার।
নিজের পরের ওভারেই আরেক ওপেনার নাঈমকে ফেরান শানাকা।
দলীয় ৭০ রানে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন সাকিব। ১৫ রান করে একইভাবে ফেরেন লিটন দাসও।
শুরুর ১০ ওভারে দারুণ শুরু এনে দিয়ে জয়ের আশা জানালেও পরের ১০ ওভারের ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়ে সাকিবের দল।
উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ধাক্কা সামলে জয়ের লক্ষ্যে বড় জুটির দিকে এগোতে থাকেন তাওহীদ হৃদয়। তাদের ৭২ রানের জুটি ভাঙেন এদিন বল হাতে দারুণ ছন্দে থাকা শানাকা।
এরপর হৃদয় এক প্রান্ত সামলে থাকলেও অপর প্রান্তে যাওয়া আসার মধ্যেই ছিলেন ব্যাটাররা। তবে দলীয় ১৯৭ রানের মাথায় হৃদয় ফিরলে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে পড়ে সাকিব-মিরাজরা।
শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। শ্রীলঙ্কার হয়ে মাহিশ থিকশানা, শানাকা ও মাথিশা পাথিরানা নেন তিনটি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকা লঙ্কান ওপেনাররা বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। ৩৪ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙেন পেসার হাসান মাহমুদ।
উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে রানের চাকা সচল রাখেন আরেক ওপেনার পাতুম নিসাঙ্কা।
২২তম ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে মেন্ডিসের সহজ এক ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি শামীম হোসেন। তবে নিজের পরবর্তী দুই ওভারে থিতু হতে থাকা দুই ব্যাটারকেই প্যাভিলিয়নে ফেরান শরিফুল। দলীয় ১০৮ রানে নিসাঙ্কা ফেরার পর ফিফটি তুলে একই পথে হাঁটেন মেন্ডিস।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট যেতে থাকলেও আরেক প্রান্ত একাই সামলে ছিলেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে যেয়ে বদলি খেলোয়াড় আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আট চার ও দুই ছক্কায় ৭২ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৯৩ রান করে ফেরেন মিডল-অর্ডারের এই ব্যাটার।
সাদিরার সময় উপযোগী পারফর্মের জবাবে নয় উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক দলটি। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জেতেন মিডল অর্ডারের এই ব্যাটার।
হাসান ও তাসকিন আহমেদ নেন তিনটি করে উইকেট, শরিফুল পান দুটি। তবে তিন পেসারই ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৬ বা এর বেশি করে।
উইকেট না পেলেও ব্যাটারদের পেয়ে বসতে দেননি স্পিনাররা। বাড়তি একজন বোলারকে খেলাতে অলরাউন্ডার আফিফকে বাদ দিয়ে নাসুম আহমেদকে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে সুযোগ দেওয়া হয়। ১০ ওভার বল করে উইকেট না পেলেও তিনি দিয়েছেন কেবল ৩১ রান।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর কলম্বোতে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায় সুপার ফোরের নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলবে সাকিবরা।
মন্তব্য করুন: