লঙ্কানদের হারিয়ে ফাইনালে ভারত

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লঙ্কানদের হারিয়ে ফাইনালে ভারত

দিনের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে রোহিত শর্মার ফিফটির পর বোলারদের দুর্দান্ত পারফর্মে শ্রীলঙ্কাকে ৪১ রানে হারিয়ে এশিয়ার কাপের ফাইনালে ভারত।

শ্রীলঙ্কা জিতলে কাগজে কলমে ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের। তবে সেই আশায় গুঁড়েবালি। ভারতের এই জয়ে টুর্নামেন্ট থেকে পুরোপুরি ছিটকে গেল সাকিবরা।

এশিয়া কাপের ওয়ানডে ফরম্যাটে ১০ম বারের মতো ফাইনালে পৌঁছাল রোহিত-কোহলিরা।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯ ওভার ১ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান করে ভারত।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পেসারদের তোপের মুখে পড়ে লংকান টপ অর্ডাররা। ২৫ রানেই তিন উইকেট হারায় টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক দলটি।

সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে চাপ কিছুটা সামলাতে থাকেন চারিত আসালাঙ্কা। ১৭ রানে সাদিরাকে ফিরিয়ে ৪৩ রানের জুটি ভাঙেন আগের ম্যাচে দারুণ ছন্দে থাকা কুলদীপ যাদব। নিজের পরের ওভারে আসালাঙ্কাকেও ফেরান এই বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার।

ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে দুনিত ভেল্লালাগের ৬৩ রানের জুটি কিছুটা আশা জাগালেও স্পিনারদের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ১৭২ রানেই থামে শানাকার দল। কুলদীপ নেন চারটি উইকেট। রবীন্দ্র জাদেজা ও যশপ্রীত বুমরাহ নেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে এদিনও দলকে ভালো শুরু এনে দেন ওপেনাররা। তবে পরিস্থিতি পাল্টে যায় প্রথম পাওয়ার প্লে শেষের পর।

১২তম ওভারের প্রথম বলে ৮০ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন ভেল্লালাগে। নিজের পরের দুই ওভারে দুই তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলিকে ও রোহিত শর্মাকেও সাজঘরে ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার।

আগের ম্যাচে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৭তম শতক হাঁকানো কোহলি এদিন ফেরেন মাত্র ৩ রানে। অন্যদিকে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫১তম ফিফটি তুলে নিয়ে ৪৮ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৫৩ রান করে ফেরেন রোহিত। একদিনের ক্রিকেটে ১৫তম ব্যাটার হিসেবে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন ভারত অধিনায়ক।

ঈশান কিশানকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলাতে থাকেন লোকেশ রাহুল। ৩৯ রানে রাহুল ফিরলে ভাঙে তাদের ৬৩ রানের জুটি। টপ-অর্ডারদের ধ্বসানোর পর মিডল অর্ডারদের সাজঘরে পাঠানোর দায়িত্বেও ছিলেন ভেল্লালাগে।

বাকি ব্যাটাররা ছিলেন যাওয়া-আসার মধ্যেই। হার্দিক পান্ডিয়ার উইকেট তুলে নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নেন ভেল্লালাগে। 

শেষ পর্যন্ত পাঁচ বল বাকি থাকতে ২১৩ রানে থামে রোহিতের দল। ইনিংসের সবকটি উইকেট নেন স্পিনাররা। ৯ ওভারে ১৮ রান দিয়ে চারটি উইকেট নেন চারিত আসালাঙ্কা। মাহিশ থিকশানা নেন একটি উইকেট।

মন্তব্য করুন: