নাটকীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নাটকীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

কুশল মেন্ডিস ও চারিত আসালাঙ্কার ব্যাটিং নৈপুণ্যে পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। 

বৃহস্পতিবার আসরের অঘোষিত সেমি-ফাইনালে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারায় লঙ্কানরা।

কলম্বোয় বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে শ্রীলঙ্কাকে ৪২ ওভারে ২৫২ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। ইনিংসের শেষ বলে সেই লক্ষ্য টপকে যায় ছয়বারের এশিয়া কাপ জয়ীরা।

এ জয়ে রেকর্ড ১১বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলবে লঙ্কানরা। 

লঙ্কান ইনিংসের ৩৫ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের দখল থাকে মেন্ডিস-আসালাঙ্কাদের হাতে। তবে ৩৫তম ওভারে ৯১ রানে থাকা ম্যাচসেরা মেন্ডিসকে সাজঘরে পাঠিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান ইফতিখার আহমেদ। ৪২তম ওভারে ২ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নাটকীয়তা বাড়িয়ে দেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ফলে শেষ ওভারে লঙ্কানদের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ৮ রানের।

৯১ রান করে ম্যাচসেরা হন মেন্ডিসঅভিষিক্ত জামান খানের ওভারের শেষ ২ বলে ৬ রান নিয়ে পাকিস্তানের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে আনেন ৪৯ রানে অপরাজিত থাকা আসালাঙ্কা। 

আগামী রোববার একই মাঠে ফাইনালে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ও আসরের সাতটি শিরোপা জয়ী ভারত। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ৩টায়।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই পাকিস্তানি বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন লঙ্কান ব্যাটাররা। দলীয় ২০ রানে শাদাব খানের এক অসাধারণ থ্রোতে রান আউটে কাঁটা পড়েন ৮ বলে ১৭ রান করা কুশল পেরেরা। আরেক ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কাকে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন মেন্ডিস। দলীয় ৭৭ রানে শাদাবের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন দারুণ খেলতে থাকা নিসাঙ্কা। 

তৃতীয় উইকেটে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে ১০০ রানের জুটি গড়ে ম্যাচকে লঙ্কানদের দিকে নিয়ে আসেন মেন্ডিস। ব্যক্তিগত ৪৮ রানে ইফতিখারের প্রথম শিকার হয়ে আউট হন সামারাবিক্রমা। এরপর আসালাঙ্কাকে নিয়ে লঙ্কানদের জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে থাকা মেন্ডিসের সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালে ম্যাচ নাটকীয়তায় মোড় নিতে শুরু করে। 

পাকিস্তানের হয়ে ইফতিখার ৩টি ও শাহিন ২টি উইকেট নেন। 

পাকিস্তানের হয়ে ইফতিখার নেন ৩ উইকেটএদিন বৃষ্টির কারণে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর খেলা শুরু হওয়ায় প্রথমে ম্যাচ নামিয়ে আনা হয় ৪৫ ওভারে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদের শতরানের জুটিতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় দল। ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৭৩ বলে ৮৬ রান করে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। 

একাদশে পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা এদিনও ভালো হয়নি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই ওপেনার ফখর জামানকে সাজঘরে ফেরান এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা প্রমোদ মাদুশান। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক বাবর ও আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিকের ৬৪ রানের জুটি করে দলের ভিত গড়ে দেন। বাবর ফেরেন ২৯ রানে।

তবে দলীয় ১০০ রানে ব্যাক্তিগত ৫২ রানে শফিক আউট হলে পরের ৩০ রানে আরও ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রিজওয়ান ও ইফতিখার ১০৮ রানের জুটি করলে বৃষ্টির জন্য ৪২ ওভারে নেমে আসা ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান করে সহ-আয়োজক দেশটি।

লঙ্কানদের হয়ে মাথিশা পাথিরানা ৩টি ও মাদুশান ২টি উইকেট নেন।

মন্তব্য করুন: