জয় দিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শেষ করল সাকিবরা
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
জয় কিংবা হার তাতে কোনো দলেরই ছিলনা কোনো লাভ বা লস। কারণ এই ম্যাচে নামার আগেই নির্ধারণ হয়ে গেছে কারা খেলবে টুর্নামেন্টের ফাইনালে। তবুও ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের বেশিরভাগ জুড়েই ছিল উত্তেজনা। তারই সূত্র ধরে ম্যাচ গড়ায় শেষ ওভারে। সেখানে ৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
সাকিব-হৃদয়ের ফিফটি এবং টেল-এন্ডারদের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত পারফর্মে ভারতের বিপক্ষে জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শেষ করল সাকিবরা।
শুক্রবার কলম্বোতে টসে হেরে একাদশে পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান করে সাকিবের দল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ভারত। ওয়ানডে অভিষেকের দ্বিতীয় বলেই উইকেট তুলে নেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। সেটিও আবার তারকা ব্যাটার রোহিত শর্মার। এর থেকে ভালো শুরু হয়তো হতে পারত না এই তরুণ পেসারের জন্য।
নিজের পরের ওভারে আবারও চমক দেখালেন তানজিম। ম্যাচের আরেক অভিষিক্ত ক্রিকেটার তিলক ভার্মাকে ফেরান বোল্ড করে।
লোকেশ রাহুলকে নিয়ে চাপ সামাল দিতে থাকেন আরেক ওপেনার শুভমান গিল। তাদের ৫৭ রানের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান। দলীয় ৯৪ রানে ঈশান কিশানকে ফেরান আরেক স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
অপর প্রান্তে ব্যাটাররা যাওয়া-আসার মধ্যে থাকলেও গিল ছিলেন নির্ভার। ১১৭ বলে তুলে নেন নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। দলীয় ২০৯ রানের মাথায় গিলকে ফেরান মেহেদী। আট চার ও পাঁচ ছক্কায় ১৩৩ বলে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ১২১ রান করেন এই ওপেনার।
সেখান থেকে ম্যাচ শেষ ৪৯তম ওভার পর্যন্ত টেনে আনেন অক্ষর প্যাটেল। তবে ডেথ ওভারের অন্যতম বলার মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ফেরেন এই বোলিং অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত ৪৯ ওভারে ১ বলে ২৫৯ রানে থামে রোহিতরা।
মুস্তাফিজ নেন তিনটি উইকেট। তানজিম ও মেহেদী নেন দুটি করে উইকেট, সাকিব ও মিরাজ নেন একটি করে।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে তবে এদিনও ব্যর্থ টপ-অর্ডাররা। ২৮ রানেই তিন উইকেট হারায় সাকিবরা। লিটন দাস শূন্য রানে ফেরার পরের ওভারেই ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় বাজে শটে ফেরেন কেবল চার রান করে।
শেষ তিন ম্যাচে ওপেনিংয়ে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ এদিন ব্যাট করতে নামেন পাঁচে। তবে সেখানে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। ২৮ বলে ১৩ রান করে ফেরেন সাজঘরে। স্কোর তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৯।
হৃদয়কে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে এগোতে থাকেন অধিনায়ক সাকিব। দলীয় ১৬০ রানে সাকিব ফিরলে ভাঙে তাদের সময় উপযোগী দুর্দান্ত ১০১ রানের জুটি। ছয় চার ও তিন ছক্কায় ৮৫ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন একদিনের ক্রিকেটের এক নম্বর অলরাউন্ডার। জেতেন ম্যাচ সেরার খেতাবও।
নাসুম আহমেদ এক প্রান্ত সামলে রাখলে আরেক প্রান্ত থেকে রানের চাকা সচল রাখেন দারুণ ছন্দে থাকা হৃদয়।
৮১ বলে ৫৪ রানে মোহাম্মদ শামির বলে ক্যাচ দিয়ে হৃদয় ফিরলে দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেন নাসুম। ৪৫ বলে ছয় চার ও এক ছয়ে করেন ৪৪ রান।
অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেট জুটিতে মেহেদী হাসান ও তানজিম হাসানের সংগ্রহ ১৬ বলে ২৭ রান! নয় নম্বর ব্যাটার মেহেদী করেন ২৯ আর তানজিম ১৪। টেল এন্ডারদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ২৬৫ রানের ভালো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
শার্দূল ঠাকুর নেন তিনটি উইকেট, মোহাম্মদ শামি নেন দুটি।
রোববার কলম্বোতে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায় মাঠে নামবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
মন্তব্য করুন: