কনওয়ে-রবীন্দ্রর ব্যাটে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে শুরু নিউ জিল্যান্ডের

৫ অক্টোবর ২০২৩

কনওয়ে-রবীন্দ্রর ব্যাটে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে শুরু নিউ জিল্যান্ডের

ইংল্যান্ড বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করলেন ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারের শতকে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ হয়ে গেল একপেশে। চ্যাম্পিয়নদের ৯ উইকেটে হারিয়ে দুর্দান্ত ভাবে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করলো গত আসরের রানার্স-আপ নিউ জিল্যান্ড।

২৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংলিশ বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন দুই বাঁহাতি ব্যাটার। ১২১ বলে ১৯ চার ও ৩ ছক্কায় কনওয়ে অপরাজিত থাকেন ১৫২ রানে এবং ৯৬ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১২৩ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন রবীন্দ্র।

বল হাতে ১ উইকেট ও ব্যাট হাতে অসাধারণ শতকে ম্যাচসেরা হন রবীন্দ্র।

বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড। কোনো রান না করা উইল ইয়ংকে সাজঘরে ফেরান স্যাম কারেন। এরপর কিউইদের কিছুটা চাপ রাখলেও তা আর বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ইংলিশ বোলাররা।

দ্বিতীয় উইকেটে কনওয়ে ও রবীন্দ্র জুটি ২৭৩ রান যোগ করে ভেঙে দিয়েছে দ্বিতীয় উইকেটে কিউইদের সর্বোচ্চ রানের জুটি। আগের জুটিটি ছিল ২০৩ রানের, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মার্টিন গাপটিল ও উইল ইয়ংয়ের।

রেকর্ড জুটি গড়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন কনওয়ে ও রবীন্দ্রকনওয়ে ও রবীন্দ্রর এই জুটি বিশ্বকাপ ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটিও।

গত আসরে সুপার ওভারও টাই হওয়ার পর বাউন্ডারি সংখ্যার হিসেবে ইংল্যান্ডের কাছে শিরোপা হারানো নিউ জিল্যান্ড এই ম্যাচে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে মোট ৩৮টি, যা ইংলিশদের চেয়ে ১১টি বেশি।

এদিন চোট থেকে সেরে ওঠার পথে থাকা নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে ছাড়াই মাঠে নামে নিউ জিল্যান্ড। তার পরিবর্তে ম্যাচে কিউইদের নেতৃত্ব দেন উইকেটরক্ষক টম লাথাম। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডও মাঠে নামে গত বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বেন স্টোকসকে ছাড়াই।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কিউই বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সুবাদে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি ইংলিশ ব্যাটাররা। ইংলিশদের ইনিংস শেষ হয় ৯ উইকেটে ২৮২ রানে। তখন এই স্কোর লড়াই করার মতো মনে হলেও কনওয়ে ও রবীন্দ্রর দাপটে ম্যাচ শেষে সেটা খুবই নগণ্যই মনে হয়েছে।

ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন তারকা ব্যাটার জো রুট। ম্যাট হেনরি ৩টি এবং মিচেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস শিকার করেন ২টি করে উইকেট।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে এ বিশ্বকাপে আক্রমণাত্মক ইংলিশ ক্রিকেটের আগমনের জানান দেন জনি বেয়ারস্টো। তবে উদ্বোধনী জুটিটি বেশি বড় হতে দেননি ডানহাতি পেসার হেনরি। হেনরির অফস্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে দলীয় ৪০ রানে কট বিহাইন্ড হন ডাভিড মালান।

ইনিংস বড় করার আগেই ব্যক্তিগত ৩৩ রানে স্যান্টনারের বলে সাজঘরে ফেরেন বেয়ারস্টো।

দলীয় ৯৪ রানে রাচিন রবীন্দ্রকে টানা দুই ৪ আর এক ছক্কা মরার পর আবার উড়িয়ে মারার চেষ্টা করে আউট হন হ্যারি ব্রুকও।

ব্যাট হাতে ইংলিশদের হয়ে একমাত্র ফিফটি করেন রুট১২০ রানের আগেই ৪ উইকেট হারানো ইংলিশদের ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন অধিনায়ক জস বাটলার ও রুট জুটি। নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা বাটলারকে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে ফেরান আসা হেনরি। ভাঙেন রুটের সঙ্গে গড়া ৭০ রানের জুটি।

নিজের প্রথম ওভারেই মইন আলীকে বোল্ড করেন পার্ট টাইম বোলার ফিলিপস। দলীয় ২২৯ রানে নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ফেরান দারুণ খেলতে থাকা রুটকে। রিভার্স-সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন শতকের দিকে এগুতে থাকা রুট।

বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি লিয়াম লিভিংস্টোনের ইনিংসও। তাকে ফিরিয়ে এবারের আসরে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট।

রুট সাজঘরে ফেরার পর শেষ দিকের ব্যাটারদের আরও চেপে ধরেন কিউই বোলাররা। ফলে একদিনের ক্রিকেট ইংল্যান্ডের জন্য মামুলি হয়ে ওঠা তিনশ’ রান আর করা হয়নি।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে]

মন্তব্য করুন: