মিরাজ-সাকিবের নৈপুণ্যে বাংলাদেশের দুর্দান্ত শুরু
৭ অক্টোবর ২০২৩
বল হাতে তিন উইকেট শিকারের পর মেহেদি হাসান মিরাজ করলেন অনবদ্য এক অর্ধ-শতক। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই তরুণের অল-রাউন্ড পারফরম্যান্স এবং অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের স্পিন আর বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বের কোনো জবাব ছিল না আফগানিস্তানের কাছে। ৬ উইকেটের দারুণ এক জয় দিয়েই তাই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ।
শনিবার ধর্মশালায় সাকিব আর মিরাজের স্পিন জাদুর পর পেসারদের দারুণ বোলিংয়ে আফগান ব্যাটিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দেয় টাইগাররা। ২৫ ওভার শেষে যেখানে আফগানদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১১২ রান, পরের ৪৪ রান তুলতেই তারা হারায় বাকি ৭ উইকেট। ফলে আট ব্যাটারকে নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ১৫৭, যা ৯২ বল হাতে রেখেই পৌঁছে যায় তারা।
ম্যাচে বাংলাদেশের হতাশার কোনো জায়গা যদি থাকে তবে সেটা ওপেনিং নিয়ে, বিশেষ করে লিটন দাসের রানে না ফেরাটা। দলীয় ১৯ রানেই রান-আউটে কাটা পড়ে সাজঘরে ফেরেন নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নামা তানজিদ হাসান তামিম। আর ব্যক্তিগত ১৩ রানে ফজলহক ফারুকির বাইরের বল টেনে এনে বোল্ড হন লিটন।
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৯৭ রানের জুটিতে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
ব্যক্তিগত ১৬ রানে পয়েন্টে থাকা নাজিবউল্লাহ জাদরানের হাতে জীবন পাওয়া মিরাজ ২৩ রানেও আরেকটি জীবন পান। এবার থার্ড উইকেটে তার ক্যাচ ফেলেন মুজিব উর রহমান। দুবার জীবন পাওয়াকে দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন মিরাজ। যার দুটিই এসেছে আফগানদের বিপক্ষে।
শেষ পর্যন্ত ৭৩ বলে ৫টি চারের মারে ৫৭ রানে রহমত শাহর অসাধারণ এক ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন ম্যাচসেরা মিরাজ।
অপরপ্রান্তে থাকা শান্ত তুলে নেন নিজের সপ্তম অর্ধ-শতক। আফগান বোলারদের দেখে শুনে খেলে ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামার পর আফগানদের দারুণ শুরু এনে দেন রহমতউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। পেসারা যখন সুবিধা করতে পারছিল না তখন সাকিব নিজেই বল হাতে নিয়ে ভাঙেন ৪৭ রানের জুটি।
দলীয় ৮৩ রানে ব্যক্তিগত ১৮ রানে থাকা রহমতকেও ফেরান সাকিব। দুই ব্যাটারই সাকিবকে তুলে মারতে গিয়ে ফিল্ডারদের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মিরাজ। এরপরেই ৪৭ রানে থাকা বিপজ্জনক গুরবাজকে সাজঘরে পাঠান বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজ। ডিপ পয়েন্ট থেকে দৌড়ে এসে দারুণ এক ক্যাচ ধরেন তানজিদ তামিম।
এখান থেকেই বাংলাদেশ বোলারদের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আফগান ব্যাটিং অর্ডার। নাজিবুল্লাহ জাদরান ও মোহাম্মদ নবীকে দ্রুতই বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান সাকিব ও তাসকিন।
আফগানদের হয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করা আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের স্ট্যাম্প ভেঙে ম্যাচে নিজের প্রথম উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত আফগানদের ইনিংস থামে ৩৭ ওভার ২ বলে ১৫৬ রানে।
সাকিব ও মিরাজের শিকার ৩ টি করে এবং শরিফুল নেন ২ টি উইকেট।
দারুণ এ জয়ে টুর্নামেন্টের শুরুতেই নেট রানরেটের সমীকরণে ভালোই এগিয়ে থাকল সাকিবের দল।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে]
মন্তব্য করুন: