রেকর্ড গড়ে পাকিস্তানের জয়
১০ অক্টোবর ২০২৩
কুশল মেন্ডিস-সাদিরা সামারাবিক্রমারার শতকের জবাব পাল্টা জোড়া শতকে দিলেন আবদুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। বিশ্বকাপে রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল পাকিস্তান।
রান-বন্যার ম্যাচে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৩৪৫ রানের লক্ষ্য ১০ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে জিতে যায় বাবর আজমের দল। ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতকে ম্যাচসেরা রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ১৩১ রানে। এ জয়ে বিশ্বকাপে লঙ্কানদের বিপক্ষে টানা ৮ ম্যাচ জিতল পাকিস্তান।
রেকর্ড রান তাড়ার ম্যাচে পাকিস্তান ভাঙে ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের তাড়া করা ৩২৮ রানের রেকর্ড। বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬৮৯ রানের রেকর্ডটিও হয় এই ম্যাচে।
হাদরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। দলীয় ৩৭ রানের মধ্যেই ফিরে যান ইমাম-উল-হক ও অধিনায়ক বাবর। বিশ্বকাপের টনা দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ পাকিস্তান অধিনায়ক।
এরপরই রিজওয়ানকে নিয়ে পাকিস্তান ইনিংস মেরামত শুরু করেন শফিক। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ১৭৬ রান। বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচেই নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকিয়ে ১০৩ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি শফিক।
সৌদ শাকিলকে নিয়ে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিতে থাকেন রিজওয়ান। দলীয় ৩০৮ রানে শাকিল ফিরলেও ইফতিখারকে নিয়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।
বাঁহাতি পেসার দিলশান মাদুশঙ্কা নেন দুটি উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় লঙ্কানরা। কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন কুশল পেরেরা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পাতুম নিসাঙ্কাকে নিয়ে ১০২ রানের জুটি গড়ে দলের চাপ সামাল দেন মেন্ডিস। ৫১ রান করা নিসাঙ্কাকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন ডানহাতি স্পিনার শাদাব খান।
ব্যক্তিগত ১৮ রানে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ইমাম ক্যাচ ফেলে দেওয়ায় জীবন পান মেন্ডিস। সুযোগকে কাজে লাগাতে একদমই ভুল করেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার-বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক। ৬৫ বলের এই শতক বিশ্বকাপে লঙ্কানদের হয়ে দ্রুততম।
হাসান আলীর বলে পরপর দুই ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেও উড়িয়ে মারতে গিয়ে সেই ইমামের হাতেই ধরা পড়েন মেন্ডিস। খেলেন ৭৭ বলে ১৪ চার ও ৬ ছক্কায় ১২২ রানের দারুণ এক ইনিংস।
দলীয় ২১৮ রানে মেন্ডিস ফিরলেও অপরপ্রান্তে দলের রানের খাতা সচল রাখেন সামারাবিক্রমা। ৮২ বলে তুলে নেন একদিনের ক্রিকেটে নিজের প্রথম শতক। শেষ পর্যন্ত ৮৯ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ১০৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
তবে শেষ ১০ ওভারে লঙ্কানদের রানের চাকা টেনে ধরেন পাকিস্তানি বোলাররা। ৬১ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কানদের রান পাহাড় বেশি বড় হতে দেননি হাসান-শাহিনরা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানদের ইনিংস থামে ৩৪৪ রানে।
পুরো ম্যাচে বোলাররা তেমন পাত্তা না পেলেও পাকিস্তানের হয়ে ৪ উইকেট নেন হাসান।
[বিস্তারিত পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে]
মন্তব্য করুন: