ব্যাটিং ব্যর্থতায় নিউ জিল্যান্ডের কাছেও হার

১৩ অক্টোবর ২০২৩

ব্যাটিং ব্যর্থতায় নিউ জিল্যান্ডের কাছেও হার

টপ অর্ডারে ধসের পর কোনোমতো ইনিংস মেরামতের চেষ্টা। এভাবে কি আর লড়াই করার মতো স্কোর হয়? ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় লক্ষ্য না দিতে পারায় নিউ জিল্যান্ডের কাছে উড়েই গেল বাংলাদেশ।

কেন উইলিয়ামসনের দায়িত্বশীল ব্যাটিং এবং ড্যারেল মিচেলের আক্রমণাত্মক অর্ধ-শতকে বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউ জিল্যান্ড জিতেছে ৮ উইকেটে।

শুক্রবার চেন্নাইয়ের চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে দ্রুত ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রচেষ্টায় কিউইদের মাত্র ২৪৬ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ।

বোলার বা ফিল্ডারদের কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই সেই লক্ষ্য সহজেই পার করে নিউ জিল্যান্ড। তবে ম্যাচ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে পারত যদি ফিল্ডাররা বেশ কিছু কঠিন ক্যাচ না ফেলতেন।

সপ্তম ওভারে ৪ রানে থাকা ডেভন কনওয়ের ক্যাচ তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন কভার-পয়েন্টে ফিল্ডিং করা মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ পর্যন্ত উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন কনওয়ে।

তবে বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে সম্ভবত প্রায় সাত মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা এক উইলিয়ামসনের কাছেই। ১৯তম ওভারে মিড উইকেটে উইলিয়ামসনকে তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন তাসকিন আহমেদ। যা পরে অর্ধ-শতকে পরিণত করেন কিউই অধিনায়ক।

চোটে মাঠ ছাড়ার আগ পর্যন্ত উইলিয়ামসন খেলেন ৭৮ রানের দারুণ এক ইনিংস

দলীয় ২০০ রানে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগ পর্যন্ত খেলেন ৭৮ রানের এক দারুণ ইনিংস।

তবে কিউই ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই আসরে দারুণ ছন্দে থাকা রাচিন রবীন্দ্রকে সাজঘরে ফিরিয়ে টাইগারদের দারুণ শুরু এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর আর বলার মতো তেমন কিছুই করতে পারেননি টাইগার বোলিং ইউনিট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে যথারীতি ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের ওপেনিং। ইনিংসের প্রথম বলেই নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন লিটন দাস। নিজের ২৯তম জন্মদিনে ট্রেন্ট বোল্টের করা লেগ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে ফ্লিক করে ডিপ ফাইন লেগে ম্যাট হেনরির হাতে ধরা পড়েন।

তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে শুরুর চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন এদিন তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ। ভালো শুরু পেলেও এই ম্যাচেও ব্যর্থ হন তানজিদ।

লকি ফার্গুসনের বলে পুল করতে গিয়ে ফাইন লেগে সেই হেনরির হাতেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৩০ রান করা মিরাজ। তিন বল পরেই গ্লেন ফিলিপসের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ দেখেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

এদিনও দলের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ সাকিব-মুশফিক

৫৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৯৬ রান যোগ করেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার সাকিব ও মুশফিক। ৪৮তম অর্ধ-শতকে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন মুশফিক।

চেন্নাইয়ের গরম ও কিউই বোলা্রদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে ছিল বাংলাদেশ অধিনায়কের ইনিংসটি। সাজঘরে ফেরার আগের চার বলে একটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন তিনি। পঞ্চম বলে পুল করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন সাকিব।

অন্যদিকে, হেনরির স্লোয়ারে সামলাতে না পেরে দলীয় ১৭৫ রানে আউট হন মুশফিক। এরপর ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়।

আট নম্বরে নামা অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৪৯ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় অপরাজিত ৪১ রানের সুবাদে ২৪৫ চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগাররা।

এদিন চারটি ফ্রি-হিট পেলেও তা থেকে মাত্র ১ রান নিতে পেরেছেন টাইগার ব্যাটাররা।

বাংলাদেশের ৯ উইকেটের ৭টিই নিয়েছেন কিউই পেসাররা। তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন লকি ফার্গুসন।

মন্তব্য করুন: