ডাচদের গুঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড জয়

২৫ অক্টোবর ২০২৩

ডাচদের গুঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড জয়

ব্যাটারদের রানের রান উৎসবের পর বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩০৯ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়ের রেকর্ড।

ডেভিড ওয়ার্নারের টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় শতকের পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বিশ্বকাপে দ্রুততম শতকে অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ৩৯৯। জবাবে ২১ ওভারে ৯০ রানে গুটিয়ে যায় ডাচরা।

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে আগের জয়টাও অস্ট্রেলিয়ার। ২০১৫ সালের আসরে তারা ২৭৫ রানে হারিয়েছিল আফগানিস্তানকে।

তাড়া করতে নেমে চার ওভারে ২৮ রান তোলে কিছুটা লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেয় নেদারল্যান্ডস। কিন্তু বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি সেই প্রতিরোধ। ম্যাক্স ওডাউডকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান মিচেল স্টার্ক।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ডাচরা। ২৫ রান করে রান আউট হোন বিক্রমজিত সিং। মার্শের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ওয়ার্নারের হাতে ধরা পড়েন আগের ম্যাচে অর্ধ শতক হাকানো ইনগেলব্রেখট। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে স্কট এডওয়ার্ডস এবং তেজা নিদামানুরু ২২ রানের ছোট পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। ১৮ বলে ১৪ করে মার্শের বলে উইকেটের পছনে ধরা পড়েন নিদামানুরু।

এরপর লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা দুই ওভারে ৪ উইকেট নিয়ে ডাচদের লেজ গুটিয়ে দেন।

রান রেট বাড়ানোর জন্য দিল্লিতে বুধবার টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। আরিয়ান দত্তের করা দ্বিতীয় ওভারে টানা চারটি বাউন্ডারি মারেন ওয়ার্নার। প্রথম তিন ওভারে আসে ২৭ রান। কিন্তু ওপেনিং জুটি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে ফন বিকের বলে কলিন আকারমানের হাতে ধরা পড়েন মার্শ।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১১৮ বলে স্কোর বোর্ডে ১৩২ রান যোগ করেন ওয়ার্নার এবং স্টিভেন স্মিথ। ৬৮ বলে ৭১ রান করে আরিয়ানের বলে ফন দার মারউইয়ের হাতে ধরা পড়েন স্মিথ। আকারমানকে ১০ রানে এলবিডব্লিইউর ফাঁদে ফেলেন জস হ্যাজলউড।

লাবুশেনের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৮৪ রানের আরও একটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন ওয়ার্নার। ৪৭ বলে ৬২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে বাস ডে লিডের বলে সাজঘরে ফেরেন লাবুশেন।

১১টি চার এবং তিন ছক্কায় টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় শতক হাকানো ওয়ার্নার থামেন ১০৪ রানে। তখন মনে হচ্ছিল ৩৫০ পর্যন্ত যাবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। কিন্তু ম্যাক্সওয়েল পাল্টে দিলেন সব হিসেবে। ৪০ বলে করেন বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম শতক। যা ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে চতুর্থ দ্রুততম শতক। ম্যাক্সওয়েল দ্বিতীয় অর্ধ শতক হাকিয়েছেন ১৩ বলে।  

৪৪ বলে ১০৬ রান করে সাইব্র্যান্ড ইনগেলব্রেখটের হাতে ধরা পড়েন ম্যাক্সওয়েল। বিধ্বংসী এই ইনিংস খেলার পথে ৯টি বাউন্ডারি এবং আটটি ছক্কা হাকিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। প্যাট কামিন্সের সঙ্গে ৪৪ বলে ১০৩ রান যোগ করেন এই অজি ব্যাটার, যাতে কামিন্সের অবদান আট রান। নেট রানরেট বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ৮ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩৯৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া ।

শেষ ১০ ওভারে এসেছে ১৩১ রান। নেদারল্যান্ডসের হয়ে ৭৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন ফন বিক।

মন্তব্য করুন: