সাকিবদের জন্য বিস্ময়ের পসরা সাজিয়ে রেখেছে কলকাতার নন্দন কানন

২৬ অক্টোবর ২০২৩

সাকিবদের জন্য বিস্ময়ের পসরা সাজিয়ে রেখেছে কলকাতার নন্দন কানন

“৩৩ বছর কাটল… কেউ কথা রাখেনি..” ওপার বাংলার প্রখ্যাত লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই কবিতা যে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে এভাবে জড়িয়ে যাবে কে জানত? বাড়ির পাশেই ‘বিদেশ’ এর নাম কলকাতা। অথচ, এই কলকাতার বিখ্যাত ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশ সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলেছিল ৩৩ বছর আগে!  ১৯৯০ সালের এশিয়া কাপে ইডেনে সেই ম্যাচটিতে বাংলাদেশের নেতৃত্বে ছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। যিনি বর্তমানে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক।

এমনিতেই ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ খুব কমই ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। ইডেন গার্ডেন্সে তো আরও কম। এই মাঠে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলার জন্য অপেক্ষা করতে হলো পাক্কা ৩৩ বছর! এত বছর পর সুনীলবাবুর প্রেমিকা কথা না রাখলেও কথা রাখল ইডেন গার্ডেন্স। আগামী শনিবার বিশ্বকাপের মঞ্চে এই মাঠে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। এরপর ৩১ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষেও একই মাঠে খেলবে সাকিব আল হাসানের দল।

তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ইডেন গার্ডেন্সে মাত্র ৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মাঝে একটি করে ওয়ানডে-টেস্ট আর ২টি টি-টোয়েন্টি। ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলেছিল এই মাঠে। আড়াই দিনে শেষ হওয়া ওই টেস্টে সেঞ্চুরি করার পরবর্তী দুই বছর তিন অংক ছুঁতে পারেননি চলতি বিশ্বকাপে ফর্মের তুঙ্গে থাকা বিরাট কোহলি। ৪ বছর আগে ইনিংস ব্যবধানে হারা সেই ম্যাচটিই ইডেনে বাংলাদেশের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এই চার বছরে ইডেন গার্ডেন্স অনেক বদলে গেছে।

সাকিব আল হাসানদের জন্য সবচেয়ে বড় চমক হয়ে আসবে ইডেন গার্ডেন্সের পিচ। বরাবরই এখানকার পিচ পেসারদের জন্য স্বর্গ আর ব্যাটারদের অপছন্দের। তবে বিশ্বকাপ উপলক্ষে আইসিসির চাহিদা অনুযায়ী ইডেনে তৈরি হয়েছে স্পোর্টিং উইকেট। ইডেনের প্রধান পিচ কিউরেটর সুজন মুখার্জীর বক্তব্য মিলে গেলে পিচে পেসারদের জন্য সহায়তা থাকছেই। ব্যাটাররাও বঞ্চিত হবেন না। যদিও চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফর্মেন্সে উইকেটের ধরন খুব একটা পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে না। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও তারা ধুঁকছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক সাকিব ২০১৬ সালে প্রথম এবং শেষবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন ইডেনে। সেটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ২০১৯ এর ঐতিহাসিক সেই টেস্টে তিনি ছিলেন না। এবারের বিশ্বকাপ দলে থাকা মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন কুমার দাস, মেহেদি হাসান মিরাজের নিকট অতীতে ইডেনে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে সেই অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়।

চলতি বিশ্বকাপেও ছন্নছাড়া দলটি কলকাতার নন্দন কাননে কি ঘুরে দাঁড়াবে?

মন্তব্য করুন: