লক্ষ্য যখন ২৩০…
২৯ অক্টোবর ২০২৩
লক্ষ্ণৌ হোক কিংবা কলকাতা। বিশ্বকাপে মঞ্চে ভিন্ন শহরে, ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দুই দলের ম্যাচ। কিন্তু চিত্রনাট্য যেন লেখা হলো একইভাবে। লক্ষ্ণৌয়ের অটল বিহারি বাজপেয়ী স্টেডিয়াম হয়ে উঠল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স। ওয়ানডে ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসরে পরপর দুই দিন দেখা গেল, প্রতিপক্ষকে মামুলি ২৩০ রানের লক্ষ্য দিয়েও জেতা সম্ভব। আগের দিন আইসিসির সহযোগী মর্যাদার নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। আর রোববার ভারতের কাছে গুঁড়িয়ে গেল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
শক্তির বিচারে বাংলাদেশ আর ইংল্যান্ডের তুলনাই হয় না। ইংল্যান্ড বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, আর বাংলাদেশ কখনও সেমি-ফাইনালেই যেতে পারেনি। তবে চলতি আসরের পারফর্মেন্স যেন দল দুটিকে দাঁড় করিয়েছে এক কাতারে। যে ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবে ধরা হয়েছিল, সেই ইংল্যান্ড তো জিততেই ভুলে গেছে। ভারতের কাছে ১০০ রানের হারের মাধ্যমে তারা চলতি বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে হারল। প্রথম ম্যাচ জেতার পর পাঁচ ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশও। আর দুই দলেরই সর্বশেষ ম্যাচের লক্ষ্য ছিল ছিল ২৩০।
গত শনিবার ইডেনে নেদারল্যান্ডসের দেওয়া ২৩০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাংলাদেশ ধসে গিয়েছিল ১৪২ রানে। ইংল্যান্ড অলআউট হলো ১২৯ রানে। বাংলাদেশের হার ছিল ৮৭ রানের, আর ইংল্যান্ড হারল পাক্কা ১০০ রানের ব্যবধানে। ২৩০ রান তাড়ায় নেমে বাংলাদেশের ৫ উইকেট পড়েছিল ৬৯ রানে। আর ইংল্যান্ড ৫২ রানেই হারায় ৫ উইকেট। পয়েন্ট টেবিলের শেষ দুটি স্থান নিয়েও বাংলাদেশ আর ইংল্যান্ডের লড়াই বেশ জমে উঠেছে।
চাইলে এমন কত পরিসংখ্যানই তো বানানো যায়। দুটি ম্যাচকে আরও অনেকভাবে মিলিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবতা সামনে এলেই থমকে যেতে হয়। ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই আসরের পর ইংল্যান্ড দলের খোলনচেই বদলে ফেলা হয়েছিল। প্রায় সবকিছুই শুরু করা হয়েছিল নতুনভাবে। যার ফলও তারা পেয়েছিল হাতেনাতে। ২০১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরে ওয়েন মরগ্যানের দল। এবারের বিশ্বকাপের পরও হয়তো ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে অনেক পরিবর্তন আসবে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটে হবে কি?
মন্তব্য করুন: