শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে স্বপ্ন যাত্রা চলছেই আফগানিস্তানের
৩০ অক্টোবর ২০২৩
এ বারের বিশ্বকাপটা যেন একদম স্বপ্নের মতো চলছে আফগানিস্তানের। বল হাতে দারুণ শুরুর পর ব্যাটারদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে আফগানরা তুলে নিয়েছে আসরের তৃতীয় জয়।
সোমবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটাররা ভালো শুরু পেলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২৪১ রানেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানদের ইনিংস। নির্ভুল রান তাড়ায় ম্যাচ কখনোই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি আফগানিস্তানের।
আফগান রান তাড়ায় চতুর্থ বলেই রহমানউল্লাহ গুরবাজের মিডল-স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিয়েছিলেন দিলশান মাদুশঙ্কা। তবে লঙ্কানদের শুরুর দাপট স্থায়ী হতে দেননি ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। বোলারদের দেখে শুনে খেলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭৩ রান যোগ করেন তারা।
মাদুশঙ্কার বাউন্সার আপার-কাট করতে গিয়ে ডিপ-থার্ড ম্যানে থাকা দিমুথ করুণারত্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩৯ করা জাদরান।
অধিনায়ক হাশমহতউল্লাহ শহীদিকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়ে দলের জয়ের ভিত মজবুত করে দেন রহমত। দলীয় ১৩১ রানে পয়েন্টে জীবন পেলেও পরের বলেই সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। আসরে নিজের দ্বিতীয় অর্ধ-শতক হাঁকিয়ে ৬২ রানে কাসুন রাজিতার বলে আউট হন তিনি।
এরপর লঙ্কান বোলাররা ম্যাচে আর কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি। আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে নিয়ে ১১১ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান হাশমহতউল্লাহ। আসরে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৬৩ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ওমরজাই। অধিনায়ক হাশমহতউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৬২ রান করে।
এর আগে বোলিংয়ে নেমে অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় নেয়নি আফগান বোলাররা। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা করুণারত্নেকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে প্রথম আঘাত হানেন ম্যাচসেরা ফজলহক ফারুকি।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শুরুর চাপ সামাল দেন পাতুম নিসাঙ্কা ও অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। বোলারদের চাপ সামলে খেলতে থাকা ৬২ রানের এ জুটি ভাঙেন ওমরজাই। টানা পাঁচ ফিফটির দিকে এগুতে থাকা ৪৬ রান করা নিসাঙ্কাকে কট-বিহাইন্ডে সাজঘরে ফেরান ডানহাতি এই পেসার।
তৃতীয় উইকেটে সামারাবিক্রমাকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন মেন্ডিস। ব্যক্তিগত ৩৯ রানে মুজিব উর রহমানের বলে স্লগ-সুইপে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ডিপ-উইকেটে মেন্ডিস ক্যাচ দিলে ভাঙে ৫০ রানের জুটি। পরের ওভারের প্রথম বলেই ৩৬ রানে থাকা সাদিরা সামারাবিক্রমাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মুজিব।
এদিন নিজের শততম ওয়ানডে খেলতে নেমে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে বোল্ড করেন রশিদ খান।
১৮৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলের হাল ধরেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও মাহীশ তিকশানা। অষ্টম উইকেটে ৪২ বলে ৪৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক জুটিতে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা।
শেষ পর্যন্ত তিন বল আগেই শেষ হয় লঙ্কানদের ইনিংস। ম্যাচ সেরা ফারুকি নেন ৪ উইকেট।
পয়েন্টে টেবিলের পাঁচ নম্বরে থেকে এখন সেমি-ফাইনালের আশাটা করতেই পারে আফগানিস্তান।
মন্তব্য করুন: