পাকিস্তানকে ফর্মে ফেরাল বাংলাদেশ
৩১ অক্টোবর ২০২৩
ক’দিন আগে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার আমির সোহেল বলেছিলেন, “যেসব দল ফর্মে থাকে না, আমরা তাদের ফর্মে ফেরাই।” কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আমির সোহেলের কথাটি মিথ্যা প্রমাণ করে পরাজয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বাংলাদেশ। টানা চার হারের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে আবারও জয়ের ধারায় ফিরল পাকিস্তান দাপটের সঙ্গে। বলা চলে, পাকিস্তানকে ফর্মে ফেরাল ছন্নছাড়া বাংলাদেশ।
শাহিন শাহ আফ্রিদিকে দিয়েই শুরু করা যাক। ৭ ইনিংসে ১৬ উইকেট নিয়ে অ্যাডাম জাম্পার সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন এই পেস তারকা। এর মাঝে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ উইকেট নিলেও দল জিততে পারেনি। মঙ্গলবার সেই শাহিনকেই দেখা গেল অন্যরূপে। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৯ ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচ করে নিলেন ৩ উইকেট। বাংলাদেশকে ২০৪ রানে আটকে দিতে তার ভূমিকা অনবদ্য।
১০ ওভারে ৪৪ রানে ১ উইকেট নেওয়া ইফতিখার আহমেদ ক্যারিয়ারে মাত্র তৃতীয়বার পুরো বোলিং কোটা শেষ করলেন। এতেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের অবদান অপরিসীম। প্রতিপক্ষ বোলারদের উইকেট উপহার দিতে কোনো কার্পণ্য করেননি লিটন-সাকিবরা। তাদের সৌজন্যে মাত্র ৩১ রানে ৩ উইকেট নেওয়া মোহাম্মদ ওয়াসিম তো চলতি আসরে নিজের সেরা বোলিং ফিগার পেয়ে গেছেন।
রান তাড়ায় নেমেও ভিন্ন রূপে দেখা দিলেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। ফখর জামান আর আব্দুল্লাহ শফিকের উদ্বোধনী জুটি ভাঙল ২২তম ওভারে। ততক্ষণে বাংলাদেশের বিপক্ষে চলতি বিশ্বকাপে যেকোনো প্রতিপক্ষের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড গড়া হয়ে গেছে। আসরে তৃতীয় ফিফটি পূরণ করা শফিক আউট হতে ভাঙে ১২৮ রানের এই জুটি। আসরে দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি তিন অংক স্পর্শ করল। আরেক ওপেনার ফখর জামান, যিনি একাদশেই সুযোগ পাচ্ছিলেন না, তিনি আজ খেললেন ম্যাচ উইনিং নক। ৭৪ বলে ৭ ছয় ৩ চারে ৮১ রান করা ফখর যখন আউট হলেন, তার অনেক আগেই পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে।
মাত্র ২০৫ রান তাড়া করে যেভাবে জেতা উচিত ছিল, পাকিস্তান প্রায় সেভাবেই জিতে গেল। কাগজে কলমে এখনো তারা সেমিফাইনালের লড়াইয়ে থাকলেও বাস্তবে পথটা বেশ কঠিন। শেষ চারে যাওয়া হোক বা না হোক, সাকিবদের হারিয়ে নিজেদের হারানো আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার করল বাবর আজমের দল।
মন্তব্য করুন: