ফখর-বাবরের ব্যাটে নিউ জিল্যান্ডকে হারাল পাকিস্তান

৪ নভেম্বর ২০২৩

ফখর-বাবরের ব্যাটে নিউ জিল্যান্ডকে হারাল পাকিস্তান

নিউ জিল্যান্ড বিশাল লক্ষ্য দিলে কি হবে, প্রথম দফায় যখন বৃষ্টি এল তখনও দুর্দান্ত রান তাড়ার ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে এগিয়ে পাকিস্তান। ফখর জামান আর বাবর আজম  উইকেট ধরে রেখে দ্রুত রান তোলায় পরের দফার বৃষ্টি বিরতিতেও এগিয়ে ছিল তারা। শেষ পর্যন্ত খেলা আর না গড়ানোয় ২১ রানে জিতে সেমি-ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে রইল পাকিস্তান।

শনিবার বেঙ্গলুরুতে প্রথমে ব্যাট করে রাচিন রবীন্দ্র-কেইন উইলিয়ামসনের বড় জুটির পর মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভারে উইকেট হারিয়ে ৪০১ রান করে কিউইরা।

বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় পাকিস্তান। দলীয় রানে টিম সাউদির বলে উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েন ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক।

এরপর কিউই বোলারদের ওপর চড়াও হন আরেক ওপেনার ফখর জামান। বৃষ্টিতে প্রথম দফা খেলা বন্ধ হওয়ার আগে বাবরকে সঙ্গে নিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৬০ রান জমা করেন ফখর। তখন ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ১০ রানে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান।

আম্পায়ারের সঙ্গে ম্যাচের ফলাফল নিয়ে কথা বলছেন উইলিয়ামসনবেশ খানিকটা সময় খেলা বন্ধ থাকার পর পাকিস্তানের জন্য ৪১ ওভারে ৩৪২ রানের নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

খেলা আবার শুরু হলে আক্রমণাত্মকই থাকেন ফখর এবং বাবর। ইশ সোধির করা ২৫ তম ওভারে আসে ২০ রান। ফলে হিসেব নিকাশে বেশ এগিয়ে যায় পাকিস্তান।

২৫ ওভার বলে খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২০০ রান হওয়ার পর আবারও বাগড়া দেয় বৃষ্টি। এরপর খেলা মাঠে না গড়ানোয় ২১ রানে ম্যাচ জিতে যায় বাবর আজমের দল।

ছয়টি চারে দুই ছক্কায় ৬৩ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ৬৩ বলে শতক হাঁকানো ফখর ১১টি ছক্কা আটটি চারে ১২৬ রান করেন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ডেভন কনওয়ে রবীন্দ্র জুটিতে আসে ৬৬ রান।

এই জুটি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই কনওয়েকে সাজঘরে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন হাসান আলী। ৩৯ বলে ৩৫ রান করে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

চোট থেকে ফিরে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেন কিউই অধিনায়কদ্বিতীয় উইকেট জুটিতে চোট থেকে ফেরা অধিনায়ক উইলিয়ামসনের সঙ্গে ১৪২ বলে ১৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন রবীন্দ্র। ৪৯ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন উইলিয়ামসন। দশটি চার এবং দুই ছক্কায় ৭৯ বলে ৯৫ রান করে ইফতিখার আহমেদের বলে লং অফে ফখর জামানের হাতে ধরা পড়েন ডানহাতি এই ব্যাটার।

রবীন্দ্র মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে মিড উইকেটে সৌদ শাকিলের হাতে ধরা পড়েন৷ ১৫টি চার এক ছক্কায় ৯৪ বলে ১০৮ রান করে। চলতি আসরে এটা তার তৃতীয় শতক।

দ্রুত রান তোলায় নজর কাড়েন মার্ক চ্যাপম্যান ড্যারিল মিচেল জুটি। ৩২ বলে ৫৭ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটার। চারটি চার এবং এক ছক্কায় ১৮ বলে ২৯ রান করে হারিস রউফের বলে বোল্ড হন মিচেল।

২৭ বলে ৩৯ রান করে ওয়াসিমের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন চ্যাপম্যান। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে গ্লেন ফিলিপস এবং মিচেল স্যান্টনার ২৬ বলে ৪৩ যোগ করেন। ২৫ বলে ৪১ রান করে ওয়াসিমের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিওনে ফেরেন ফিলিপস। ১৭ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন স্যান্টনার।

অতিরিক্ত খাত থেকে আসে ২৬ রান। পাকিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে উইকেট নেন ওয়াসিম।

মন্তব্য করুন: