অবশেষে জয়ের মুখ দেখল ইংল্যান্ড
৮ নভেম্বর ২০২৩
দুঃস্বপ্নের বিশ্বকাপে টানা পাঁচ ম্যাচ হরের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে ইংল্যান্ড। বেন স্টোকসের দারুণ এক শতক এবং ডাভিড মালান ও ক্রিস ওকসের অর্ধ-শতকের পর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নেদারল্যান্ডসকে ১৬০ রানে হারিয়ে আসরে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের সপ্তম স্থানে উঠে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার আশা টিকে রইল ইংলিশদের। আর বন্ধ হয়ে গেল ডাচদের সেমি-ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা।
বুধবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মালানের দারুণ শুরুর পর মাঝের ওভারগুলোতে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকায় একটা সময় চাপে পড়েছিল ইংল্যান্ড। তবে শেষ দিকে ম্যাচসেরা স্টোকস ও ওকসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ডাচদের সামনে ৩৪০ রানের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ইংলিশরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মিডল-অর্ডারের সামান্য প্রতিরোধ ছাড়া বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ডাচরা। ৭৬ বল বাকি থাকতেই ১৭৯ রানে গুটিয়ে যায় স্কট এডওয়ার্ডসের দলের ইনিংস।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ডাচদের চেপে ধরেন ইংলিশ পেসাররা। পঞ্চম ওভারে ম্যাক্স ওডাউডকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন ওকস। পরের ওভারেই কলিন আকারমানকে ফেরান ডেভিড উইলি।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওয়েসলি বারেসি ও সিব্রান্ড ইনগেলব্রাখট দলের চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এই দুই ব্যাটারের ভুল বোঝাবুঝিতে রান-আউটে ৩৭ রানে থাকা বারেসি কাটা পড়লে ৫৫ রানের জুটি ভাঙে। এবারের আসরে দশম বারের মতো কোনো ডাচ ব্যাটার রান-আউটে সাজঘরে ফিরল।
দলীয় ৯০ রানে নিজের দ্বিতীয় শিকারে ৩৩ রান করা ইনগেলব্রাখটকে ফেরান উইলি। বাস ডে লেডের ইনিংসও বেশি লম্বা হয়নি। ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক এডওয়ার্ডস ও তেজা নিদামানুরু আরেকটি জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু আসরে মঈন আলীর প্রথম শিকার হয়ে ৩৮ রান করে এডওয়ার্ডস ফিরলে ভাঙে তাদের ৫৯ রানের জুটি।
এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ডাচদের ব্যাটিং লাইন-আপ। আদিল রশিদ ও মঈনের ঘূর্ণিতে ১৬ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় ডাচরা। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন নিদামানুরু। রশিদ ও মঈনের শিকার ৩টি করে উইকেট।
এর আগে ইংলিশদের দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও মালান। বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে ৪৮ রানের এ জুটি ভাঙেন আরিয়ান দত্ত।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জো রুটকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত রান তুলছিলেন মালান। কিন্তু দলীয় ১৩৩ রানে রুট হাস্যকরভাবে বোল্ড হলে ভাঙে ৮৫ রানের জুটি।
পরের ওভারেই স্টোকসের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান-আউটে কাটা পড়েন ৮৭ রান করা মালান। দ্রুতই সাজঘরের পথ দেখেন হ্যারি ব্রুকস। আসরজুড়ে ব্যাট হাতে ধুঁকতে থাকা অধিনায়ক জস বাটলার ৫ রান করে পল ফন মিকেরেনের বলে মিড-অফে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। বেশিক্ষণ টেকেননি মঈন আলীও।
১৯২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে টেনে তোলেন স্টোকস ও ওকস। ২০৪ রানে আরিয়ান ৪১ রানে থাকা স্টোকসের ক্যাচ ফেললে আর পেছনে ফিরে তাকায়নি ইংলিশরা। ৭৮ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় বিশ্বকাপে নিজের প্রথম শতক তুলে নেন স্টোকস। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে নিজের ষষ্ঠ অর্ধ-শতক তুলে নেন ওকস।
৫১ রান করা ওকসকে ফিরিয়ে তাদের এ জুটি ভাঙেন বাস ডে লেডে। তবে সপ্তম উইকেট জুটিতে ৮১ বলে ১২৯ রানে প্রত্যাশিত বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় ইংল্যান্ড।
দুই বল বাকি থাকতে ১০৮ রান করে স্টোকস ফিরলে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৯ রান তোলে ইংল্যান্ড। স্টোকস ও ওকস ঝড়ে শেষ ১০ ওভারে ১২৪ রান যোগ করে ইংলিশরা।
ডে লেডে নেন ৩ উইকেট। আরিয়ান ও ফন বিকের শিকার ২টি করে উইকেট।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে]
মন্তব্য করুন: