শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে শেষ চারে এক পা নিউ জিল্যান্ডের

৯ নভেম্বর ২০২৩

শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে শেষ চারে এক পা নিউ জিল্যান্ডের

বোলারদের দাপটের পর টপ অর্ডার ব্যাটারদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে উইকেটে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে নিউ জিল্যান্ড। ১৬০ বল হাতে রেখে লঙ্কানদের দেয়া ১৭২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কিউইরা।

১০ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে থাকা নিউ জিল্যান্ডের নেট রান রেট .৭৪৩। পাকিস্তান (.০৩৬) আফগানিস্তান ( -.৩৩৮) উভয় দলের পয়েন্ট সমান ৮। নিউ জিল্যান্ডের এই রানরেটকে টপকানো আফগানিস্তান পাকিস্তানের পক্ষে অসম্ভব।

বৃহস্পতিবার বেঙ্গলুরুতে প্রথমে নিউ জিল্যান্ডের পেসারদের বোলিং তোপের পর দশম উইকেটে দিলশান মাদুশঙ্কা মহেশ থিকসানার ব্যাটিং দৃঢ়তায় ১৭১ রান করতে পারে শ্রীলঙ্কা।

মামুলি লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে নেট রান রেট বাড়াতে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন কিউই দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্র। প্রথম পাওয়ার প্লেতে এই জুটি থেকে আসে ৭৩ রান।

কনওয়ে-রবীন্দ্রর ৮৬ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন দুশমন্ত চামিরা। ৪২ বলে ৪৫ রান করে চামিরার বলে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে ধরা পড়েন কনওয়ে। দুই রানের ব্যবধানে রবীন্দ্রকে সাজঘরে ফেরান থিকসানা। ৪২ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২৯ বলে ৪২ রান যোগ করে দলকে লক্ষ্যের আরও কাছে নিয়ে যান কেইন উইলিয়ামসন-ড্যারিল মিচেল ১৪ রান করে ম্যাথিউসের বলে বোল্ড হোন উইলিয়ামসন।

ম্যাথিউসের বলে ডিপ কাভার পয়েন্টে আসালাঙ্কার দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন ৪৩ রান করা মিচেল।

গ্লেন ফিলিপসের ১০ বলে ১৭ রানের ছোটো ক্যামিও ইনিংসে ২৩ ওভার বলে উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নিউ জিল্যান্ড। ম্যাথিউস ২৯ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট।

কিউইদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৭১ রানে আটকে যায় শ্রীলঙ্কাএর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় রানে টিম সাউদির বলে উইকেটের পেছনে টম ল্যাথামের হাতে ধরা পড়েন পাতুম নিশাঙ্কা। তার আগের বলেই কুশল পেরেরার ক্যাচ ছাড়েন ল্যাথাম।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পেরেরা- কুশল মেন্ডিসের ২৭ রানের পার্টনারশিপে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয় শ্রীলঙ্কা। তবে এই জুটি জমে ওঠার আগেই আঘাত হানেন ট্রেন্ট বোল্ট। বোল্টের করা চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে থার্ডম্যানে রান করে রাচিন রবীন্দ্রর হাতে ধরা পড়েন মেন্ডিস। 

উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই বোল্টের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন সাদিরা সামারাবিক্রমা। রান করে প্রথম স্লিপে ড্যারেল মিচেলের হাতে ধরা পড়েন সামারাবিক্রমা।

পেরেরা- চারিত আসালাঙ্কা চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৩৮ রান যোগ করেন। রান করে বোল্টের বলে এলবিডব্লিইউর ফাঁদে পড়েন আসালাঙ্কা। এরপর দ্রুত বিদায় নেন পেরেরা। ২২ বলে অর্ধশতক হাঁকানো পেরেরা নয়টি চার দুই ছক্কায় ২৮ বলে ৫১ রান করে লকি ফার্গুসনের বলে মিচেল স্যান্টনারের হাতে ধরা পড়েন।

প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭৫ রান।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস-ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৩৪ রানের পার্টনারশিপে ১০০ রান পার করে লঙ্কানরা। দলীয় ১০৪ রানে ১৬ রান করে স্যান্টনারের বলে মিচেলের হাতে ধরা পড়েন ম্যাথিউস। দশম উইকেট জুটিতে মাদুশঙ্কা-তিকসানার ৮৭ বলে বলে ৪৩ রানের পার্টনারশিপের ওপর ভর করে ৪৬ ওভার বলে সব উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করে শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপে দশম উইকেটে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপের রেকর্ড এটি। ৯১ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন থিকসানা।

 কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ৩৭ রান দিয়ে নেন উইকেট।

মন্তব্য করুন: