মার্শের ব্যাটে বাংলাদেশের ৩০৬ পেরিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া
১১ নভেম্বর ২০২৩
মার্শের ব্যাটে বাংলাদেশের ৩০৬ পেরিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া
বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে নিজেদের সর্বোচ্চ রান করলেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে কোনো পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ। বোলাররা জ্বলে উঠতে না পারায় ৮ উইকেটে জিতেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরুর পরেও ব্যাটারদের ইনিংস বড় করতে না পারার ব্যর্থতা এবং রান-আউটের খাঁড়ায় ৮ উইকেটে ৩০৬ রানের সংগ্রহ পায় নাজমুল হোসেন শান্তরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মিচেল মার্শের বিধ্বংসী ১৭৭ রানে ৩২ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।
তবে বল হাতে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই তৃতীয় ওভারে ট্র্যাভিস হেডের স্ট্যাম্প ভাঙেন ডানহাতি এই পেসার। এরপর ম্যাচে আর কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি বোলাররা। সঙ্গী ছিল বাজে ফিল্ডিংও।
ক্রিজে এসেই একের পর এক বল বাউন্ডারি ছাড়া করতে থাকেন মার্শ। অপরপ্রান্তে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৫৩ রান করা ওয়ার্নারকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। তবে এর আগে দ্বিতীয় উইকেটে ১২০ রান যোগ করে জয়কে বাংলাদেশের নাগালের বাইরে নিয়ে যান ওয়ার্নার-মার্শ জুটি।
ওয়ার্নার ফিরলেও বোলারদের ওপর ঝড় চালাতে থাকেন ম্যাচসেরা মার্শ। ৮৭ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় আসরের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন ডানহাতি এই ব্যাটার। স্টিভ স্মিথ তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩২তম ফিফটি। তৃতীয় উইকেটে মার্শ-স্মিথের ১৭৫ রানের জুটিতে বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিজেদের সর্বোচ্চ সফল রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে অস্ট্রেলিয়া।
ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ১৩২ বলে ১৭ চার ও ৯ ছক্কায় মার্শ অপরাজিত থাকেন ১৭৭ রানে। স্মিথ ৬৪ বলে করেন অপরাজিত ৬৩।
এর আগে সকালে ব্যাট করতে নেমে আসরজুড়ে ব্যর্থ লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম জুটি প্রথম ১০ ওভারেই দলের খাতায় যোগ করে ৬২ রান। তবে শন অ্যাবটের করা ১২তম ওভারের শুরুতেই ৩৬ রান করা তানজিদ সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৭৬ রানের জুটি।
অপরপ্রান্তে থাকা লিটন দারুণ শুরুর পরেও এদিনও নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন। দলীয় ১০৬ অ্যাডাম জ্যাম্পাকে আলগা শটে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে থাকা মারনাস লাবুশেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩৬ রান করে বিশ্বকাপ শেষ করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে রানের খাতা সচল রাখেন শান্ত। দলীয় ১৭০ রানে স্কোয়ার-লেগ থেকে লাবুশেনের থ্রোতে অর্ধশতক থেকে ৫ রান দূরে থাকতে রান-আউটে কাটা পড়েন সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়া এই ব্যাটার।
এদিন পাঁচে ব্যাট করতে নেমেই বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দুর্দান্ত খেলছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে লাবুশেনের দারুণ এক ডিরেক্ট থ্রোতে ৩ ছক্কায় ৩২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। মুশফিকও (২১) বেশিক্ষণ টেকেননি।
এক প্রান্ত আগলে রেখে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম অর্ধ-শতক তুলে নেন হৃদয়। মার্কাস স্টয়নিসকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ-মিড উইকেটে লাবুশেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৭৪ রানে প্যাভিলিয়নের পথ দেখেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
মিরাজ ২০ বলে ৪ চারে ২৯ রান করলে তিনশ’ পার করে বাংলাদেশ। শেষ ১০ ওভারে স্কোরকার্ডে ৬৭ রানের বেশি যোগ করতে পারেনি ব্যাটাররা।
দুটি করে উইকেট নেন অ্যাবট ও জ্যাম্পা।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে]
মন্তব্য করুন: