টানা দুই ফাইনালে হেডের কাছেই হারল ভারত
২০ নভেম্বর ২০২৩
উড়তে থাকা ভারতকে মাটিতে নামিয়ে এনে ষষ্ঠবারের মতো একদিনের ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আর এই বিশ্ব জয়ে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন দলটির ওপেনার ট্র্যাভিস হেড।
রোববার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এবারের আসরের ফাইনালে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ১২০ বলে ১৩৭ রানের ওপর ভর করে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় অজিরা।
গত জুনে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হেডের ১৬৩ রানের দারুণ এক ইনিংসে এই ভারতকেই হতাশায় ডুবিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটও নিজেদের করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো এ ম্যাচেও সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন হেড।
ফাইনাল সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে হেড বলেন, “আমি কখনও ভাবিনি যে এরকম কিছু হবে। এটি দারুণ একটি দিন। এর অংশ হতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত।”
গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে হাত ভাঙায় টুর্নামেন্টের প্রথম পাঁচ ম্যাচে মাঠের বাইরে ছিলেন হেড। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেই হাঁকান দুর্দান্ত এক শতক।
“বাড়িতে সোফায় বসে থাকার চেয়ে এখানে থাকাটা অনেক ভালো। সবকিছু যেভাবে হয়েছে তার জন্য আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। ফিরে আসার জন্য সতীর্থরাও সমর্থন দিয়েছে। আমি ভাবিনি যে এমনটা হতে পারে।”
ফাইনালে ব্যাট হাতে অবদান রাখার পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও দারুণ ভূমিকা রাখেন হেড। কভার অঞ্চল থেকে পেছনের দিকে দৌড়িয়ে অসাধারণ এক ক্যাচে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে সাজঘরে ফেরান তিনি।
নিজের ফিল্ডিং নিয়ে বাঁহাতি এই ওপেনার বলেন, “রোহিত শর্মা সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্ভাগাদের একজন। ক্যাচিংয়ের জন্য আমি অনেক পরিশ্রম করি। তবে আমি ভাবিনি ওটা ধরে রাখতে পারব। জীবনের পরে কোনো এক সময় আমি এই সুন্দর জিনিসটার স্মৃতিচারণ করব।”
বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে আলোর নিচে লক্ষ্য তাড়া করাতে ঝুঁকি থাকলেও টস জিতে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বল করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানান হেড। তার মতে, পরে ব্যাটিংয়ের সময় পিচ আরও কঠিন হয়ে যাওয়ার কথা তাদের মাথায় ছিল। কিন্তু আগে বল করার সিদ্ধান্তটা দিন শেষে ভালো হয়েছে কারণ দিন যতো গড়িয়েছে ব্যাট করা ততো সহজ হয়েছে।
মন্তব্য করুন: