যুব বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ জয়

নেপথ্যের নায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন

১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

নেপথ্যের নায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন

তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসি-ঠাট্টার অভাব নেই। কখনো তার বলের গতি নিয়ে, কখনো জাতীয় দলের দায়িত্ব আবার কখনো বিসিবি কর্তা হিসেবে রসিকতার শিকার হয়ে থাকেন খালেদ মাহমুদ সুজন। কিন্তু ইতিহাসবিমুখ প্রজন্ম জানেই না, এই সুজনও একসময় দেশের বড় তারকা ছিলেন। সেইসময় বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কেউ গোনায় ধরত না। তেমন কেউ ক্রিকেট খেলা দেখতও না। তখন খালেদ মাহমুদরাই দেশের ক্রিকেটকে ধরে রেখেছিলেন। যার ফল ভোগ করছে এই প্রজন্ম। একটা সময় খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি টানলেও খালেদ মাহমুদ কিন্তু ক্রিকেট ছাড়েননি।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে নিয়মিতই নানা ভূমিকায় দেখা যায় খালেদ মাহমুদকে। বিসিবি পরিচালক, ঘরোয়া লিগ কিংবা জাতীয় দলের কোচ, গেম ডেভলপমেন্টের চেয়ারম্যান, জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর- এমন বহু দায়িত্ব পালন করেছেন সুজন। অন্য জায়গাগুলো নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থাকলেও গেম ডেভলপমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে সুজনের পারফর্মেন্স দুর্দান্ত। তিন বছরের ব্যবধানে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হাত ধরে দেশকে এনে দিয়েছেন বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপ শিরোপা। যুবা টাইগারদের এমন অর্জনে খালেদ মাহমুদের অবদান কম নয়। বরং তিনিই নেপথ্যের নায়ক।

২০২০ যুব বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। সেদিন ডাগ-আউটে দাঁড়িয়ে আনন্দে কেঁদেছিলেন সুজন। এই ছেলেগুলোকে তিনিই তো তৈরি করেছেন, আবেগাক্রান্ত হওয়া তাকেই মানায়। পরের বিশ্বকাপে সাফল্য না এলেও হাল ছাড়েননি সুজন। ফের তিলে তিলে গড়ে তোলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সেই দলটিও বেশ কিছুদিন ধরে সফল হচ্ছিল না। অবশেষে এলো যুব এশিয়া কাপ। বড় মঞ্চে জ্বলে উঠল যুবা টাইগাররা। ভারতকে উড়িয়ে ফাইনালে উঠে প্রথমবারের মতো জিতে নিল এশিয়া কাপের শিরোপা। পুরো টুর্নামেন্টে একটাও ম্যাচ হারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

বাংলাদেশের ক্রিকেটের একটা প্রজন্মের বিদায়ের ক্ষণ চলে এসেছে। সাকিব-তামিম-মুশফিকরা আর বেশিদিন খেলবেন না। তাই জাতীয় দলে প্রয়োজন নতুন মুখ। সেই নতুন মুখের যোগান বেশ ভালোভাবেই দিচ্ছেন সুজন। বিশ্বকাপজয়ী শরীফুল ইসলাম, তানজিদ তামিম, তাওহিদ হৃদয়, তানজিম সাকিবরা এখন জাতীয় দলে খেলছেন। এবারের এশিয়া কাপ জয়ী দল থেকেও নবীনরা আসবেন জাতীয় দলে। সামনেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। বড় মঞ্চে আবারও নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছেন রাব্বি-শিবলি-আরিফুলরা। আর এসবের পেছনে নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।

মন্তব্য করুন: