নির্বিষ বোলিং আর বাজে ফিল্ডিংয়ে বৃথা গেল সৌম্যর সেঞ্চুরি
২০ ডিসেম্বর ২০২৩
নেলসনের ব্যাটিং স্বর্গে পুরোপুরি নিরাপদ না হলেও লড়াই করার মতো স্কোর গড়েছিল বাংলাদেশ। তবে বোলারদের ব্যর্থতায় সেই লড়াই করার সুযোগই হলো না। নির্বিষ বোলিং আর বাজে ফিল্ডিংয়ের মহড়ায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে হেরে গেল বাংলাদেশ। বৃথা গেল সৌম্য সরকারের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি। এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ড। তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন সৌম্য সরকার।
রান তাড়ায় কিউদের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। রাচিন রবীন্দ্র ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। ৩৩ বলে ৪৫ রান করে ফেলা এই ওপেনারকে থামান হাসান মাহমুদ। ৭৬ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। তবে রানের গতি কমেনি তেমন। ১৬.১ ওভারে কিউইদের স্কোর তিন অংক স্পর্শ করে। ৫১ বলে ফিফটি পূরণ করেন আরেক ওপেনার উইল ইয়ং। বাংলাদেশের নির্বিষ বোলিং আর ক্যাচ মিসের মহড়ায় দুজনের জুটি জমে ওঠে। ১২৮ রানের এই জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে সেঞ্চুরি মিস করেন ৯৪ বলে ৮ চার ২ ছক্কায় ৮৯ রান করা উইল ইয়ং।
তিন নম্বরে নামা হেনরি নিকোলাসের দুঃখ আরও বেশি। তিনিও শরীফুল ইসলামের বলে ক্যাচ দিয়ে মিস করেছেন সেঞ্চুরি। নিকোলাসের ৯৯ বলে ৯৫ রানের ইনিংসে ছিল ৮টি চার এবং ১টি ছক্কা। ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিউ জিল্যান্ডের হাতে। অধিনায়ক টম ল্যাথাম (৩৪*) এবং কিপার টম ব্লান্ডেল (২৪*) মিলে বাকি কাজটা সারেন। ২২ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নিউ জিল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ, একটি নিয়েছেন শরীফুল।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯.৫ ওভারে ২৯১ রান তোলে বাংলাদেশ। দলীয় ১১ রানেই অ্যাডাম মিল্নের বলে ক্যাচ তুলে বিদায় হন এনামুল হক বিজয় (২)। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং লিটন দাস উভয়েই ৬ রান করে আউট হন। তাওহিদ হৃদয় (১২) রান-আউট হয়ে গেলে ৮০ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এমন বিপদে দলের হাল ধরেন সৌম্য। একপ্রান্ত আগলে রেখে ছড়ি ঘোরাতে থাকেন কিউই বোলারদের ওপর। ৫৮ বলে ফিফটি পূরণের পর ১১৬ বলে পৌঁছে যান তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে। ৬৫ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে এটা তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। অন্যাপ্রান্তে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন সৌম্যকে। দুজনের পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ১০৮ বলে ৯১ রান।
মুশফিক আজও বড় স্কোরের আশা জাগিয়ে থামেন ৪৫ রানে। পরের উইকেটে মিরাজের সঙ্গেও সৌম্যর ৫৩ বলে ৬১ রানের দারুণ একটা জুটি হয়েছে। এরপর তানজিম সাকিবের সঙ্গে তার ২৬ বলে ৪০ রানের জুটিটাও দলের স্কোর এগিয়ে দিয়েছে। সেঞ্চুরির পর ভয়ংকর হয়ে ওঠেন সৌম্য। ১০০ থেকে ১৫০ পূরণ করতে সময় নেন মাত্র ২৮ বল। উইকেটের চারদিকে দেখা যায় দুর্দান্ত সব শটের প্রদর্শনী। ইনিংসের শেষ ওভারে উইল ও’রোকের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে খেলেন ১৫১ বলে ১৬৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। যাতে ছিল ২২টি চার এবং ২টি ছক্কার মার। শেষ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ থামে ২৯১ রানে। জ্যাকব ডাফি এবং ও’রোক নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।
মন্তব্য করুন: