আইপিএলে ইতিহাস গড়ে ভাষা হারিয়েছেন স্টার্ক

২০ ডিসেম্বর ২০২৩

আইপিএলে ইতিহাস গড়ে ভাষা হারিয়েছেন স্টার্ক

আট বছর পর আইপিএলে ফেরার ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। কিন্তু মাঠে নামার আগেই যে বাঁহাতি এই পেসার ইতিহাস তৈরি করবেন তা হয়তো কেউই ভাবেনি। মঙ্গলবার দুবাইয়ে হওয়া আইপিএলের নিলামে রেকর্ড ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে তাকে দলে ভেড়ায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। যার ফলে এতোটাই অবাক হয়েছেন যে বলার মতো কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না স্টার্ক।

নিলামে দল পাওয়ার পর স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টার্ক বলেন, “সত্যি বলতে আমি জানি না এটা কোনোভাবে ভাষায় প্রকাশ করা যায় কি না। বরাবরের মতোই বড়দিনের সময়টা প্রচুর ক্রিকেট ম্যাচ থাকে। আর এটা অবশ্যই তা পূর্ণতা দিয়েছে।”

কলকাতার জার্সি গায়ে খেলতে পারা উচ্ছ্বাসিত স্টার্ক আরও বলেন, “প্রথমত, আইপিএলে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। দ্বিতীয়ত, এটাতে বেশ অবাক ও অভিভূত হয়েছি। তবে ব্যাপারটা যেভাবে সামনে এসেছে তাতে বেশ উচ্ছ্বাসিত ছিলাম। কিন্তু যা হয়েছে তা কখনও কল্পনাও করিনি।”

এতো চড়া মূল্যে তাকে দলে ভেড়ানোয় স্বভাবতই কলকাতা সমর্থক ও ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশার পাল্লা স্টার্কের ওপর অনেক বেশি থাকবে। আর আইপিএলের নতুন মৌসুম শুরু হতেই যে তা আরও বাড়তে থাকবে তা মাথায় রেখে স্টার্ক বলেন, “আমার বয়স এখন ৩৩। তাই (পারফর্মেন্সে) ওঠা-নামা হতেই পারে। বিশেষ কিছু ম্যাচের চাপ সামাল দিতে হবে। আমি ভাবতে চাই যে- আমি পারব। তবে যে দামে আমাকে নেওয়া হয়েছে তার জন্য আসছে মৌসুমে প্রত্যাশাটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আশা করছি আগের বারের চেয়ে এবার আরও বেশি সাফল্য পাবো। নতুন বলে সুইং আর পুরোনো বলে রিভার্স-সুইং করে উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করব।”

সমর্থকদের আকাশচুম্বী প্রত্যাশা থাকলেও স্টার্ক জানেন কীভাবে পাহাড়সম চাপ সামাল দিতে হয়। যার প্রমাণ পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়ার দুটি ওয়ানডে ও একটি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে তার ভূমিকা নিয়ে। একই সঙ্গে রয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের মাটিতে খেলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতাও। যা তিনি এবার কলকাতার দলটিতে কাজে লাগাতে চান।

“২০১৪ ও ১৫ সালে আইপিএল খেলার পর অনেক দীর্ঘ সময় শেষে এখানে আবার খেলব। এর মাঝে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ভিন্ন ফরম্যাটে অনেক ম্যাচ খেলেছি। বিশ্বকাপের মতো আসরগুলোতে ভারতে অনেক সাদা বলের ক্রিকেট খেলা হয়েছে। বিশ্বকাপও খেলেছি। তাই সেখানে খেলার একটা অভিজ্ঞতা আছে এবং কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখতে পেরেছি। আশা করছি, সাদা বলের ক্রিকেটে আমার যে অভিজ্ঞতা আছে, সেটা দিয়ে নাইট রাইডার্সকে সাফল্য এনে দিতে পারব।”

মন্তব্য করুন: