সেঞ্চুরি পেয়েও কাটল না সৌম্যর আক্ষেপ
২০ ডিসেম্বর ২০২৩
ওপেনার সৌম্য সরকারের রানে ফেরার দিনে যেন ছন্দহীনতায় নিমজ্জিত হলো পুরো বাংলাদেশ দল। সব ব্যাটাররা মিলেও করতে পারেননি সৌম্যর সমান (১৬৯) রান। সাত উইকেটে ম্যাচ হারার সঙ্গে এক ম্যাচ বাকি থাকতে হেরেছে সিরিজও। তাই প্রায় পাঁচ বছর পর পাওয়া ওয়ানডে শতকটাও চাপা পড়ে গেল ব্যর্থতা আর হতাশার নিচে। ম্যাচসেরা খেলোয়াড় হওয়ার পরও তার আক্ষেপই ফুঁটে উঠেছে সৌম্যর কথায়।
ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিতে গিয়ে সৌম্য পরাজয়ের আক্ষেপ জানিয়ে বলেন, “শতক পাওয়ায় খুশি। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে ম্যাচটা হেরে গেছি। যদি জয়টা পেতাম তাহলে এটি আরও বিশেষ হতো।”
এক প্রান্তে হারানো ছন্দ খুঁজে পেয়ে সৌম্য দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও আরেক প্রান্তে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম পাওয়ার প্লেতেই বিদায় নিয়েছেন এনামুল হক বিজয়, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস। গুরুত্বপূর্ণ উইকেটগুলো হারানোর পর মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে দুটি পঞ্চাশোর্ধ জুটি গড়েন সৌম্য। তবে এই ওপেনারের ব্যক্তিগত ইনিংসের তুলনায় জুটিগুলো কিছুই না। তাই বড় জুটি গড়তে ব্যর্থ হওয়ার আক্ষেপও করলেন সৌম্য।
“যদি পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট না হারাতাম, তাহলে হয়তো এটা পার্থক্য গড়ে দিত। মাঝে দুটি জুটি গড়তে পেরেছিলাম, তবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট হারিয়েছি। সেটা না হলে আমরা ভালো সংগ্রহ পেতাম।”
দীর্ঘ সময়ের ব্যর্থতায় নানা সমালোচনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে সৌম্যকে। জাতীয় দলে তাকে সুযোগ দেয়ায় বিসিবিকেও ছাড় দেয়নি সমর্থকরা। এমন অবস্থা থেকে ঘুরে দাড়িয়ে জয়ের নায়ক হতে না পারলেও হয়েছেন ম্যাচের নায়ক। এটা নিয়েও নিজের ভাবনা জানিয়ে সৌম্য বলেন, “নেটে আমরা কঠোর অনুশীলন করছি। অনেক দিন পর জাতীয় দলে ফিরেছি। খুব বেশি ভাবিনি, শুধু বল দেখে নিজের খেলাটা খেলার চেষ্টা করেছি।”
সৌম্যর প্রশংসায় শান্ত বলেন, “এটা তার জন্য বিশেষ একটি শতক। সে খুব একটা ভালো অবস্থায় ছিল না। কিন্তু এই সময়টায় নেটে সে কঠোর পরিশ্রম করেছে। সবকিছু ঠিকটাক করে আজ সে ফল পেয়েছে।”
মন্তব্য করুন: