বোলিং উপভোগ করে ম্যাচসেরা তানজিম সাকিব

২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

বোলিং উপভোগ করে ম্যাচসেরা তানজিম সাকিব

বোলিং উপভোগ করে ম্যাচসেরা তানজিম সাকিব

অপেক্ষাটা ছিল ১৬ বছরের। ম্যাচের হিসেবে ১৮টি ওয়ানডে। ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো নিউ জিল্যান্ডে মাটিতে সাদা বলের ক্রিকেট খেলতে গেলেও জয়টা অধরাই ছিল বাংলাদেশের। তবে ১৯তম ম্যাচে এসে এককথায় দাপুটে এক জয়ই পেয়েছে টাইগাররা। দলের পেসাররাই স্মরণীয় এই জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন। আর আগুন ঝরানো বোলিংয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব।

শনিবার নেপিয়ারে টস জিতে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর বল করার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় নেয়নি পেসাররা। শরিফুল ইসলাম তানজিমের বিধ্বংসী বোলিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ২৭ রানেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দুটি উইকেটই নেন ডানহাতি পেসার তানজিম। শুরুর এই ধাক্কা পরে আর সামলে উঠতে পারেনি কিউইরা।

৩১ ওভার বলে মাত্র ৯৮ রানেই নিউ জিল্যান্ডকে গুটিয়ে দেয় টাইগাররা, যার সবকটি উইকেটই শিকার করেন পেসাররা। জবাবে ১৫ ওভার বলে উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ।

ওভারে ২২ রানের খরচায় উইকেট নেন বাঁহাতি শরিফুল। নতুন বলে তার সঙ্গে অন্য প্রান্ত থেকে বল করা ওভারে মেডেনসহ ১৪ রানে তানজিম নেন উইকেট নেন। এদিন মিডিয়াম পেসে হাত ঘুরিয়ে ওভারে  মেডেনে ১৮ রানে উইকেট নেন সৌম্য সরকার। আরেক নিয়মিত পেসার মুস্তাফিজ ওভার বলে ৩৬ রান দিয়ে শিকার করেন বাকি এক উইকেট।

ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে তানজিম বলেন, “নিজের পারফরমেন্সে আমি সত্যিই সন্তুষ্ট। যেভাবে শুরু করেছিলাম সেটা আমার জন্য ভালো ছিল। বোলিংটা উপভোগ করেছি। বল ভেতরে ঢুকছিল, সিমে পড়ে মুভ করছিল। এটা আমার দলকে ভালো একটা ভিত তৈরি করে দেয়। লাইন লেন্থ ধরে রেখে উইকেট টু উইকেট বল করার চেষ্টা করেছি। বাকি কাজ পিচ করেছে। সেখান থেকে সাহায্যও পেয়েছি। পেসারদের জন্য এটা দারুণ পিচ। আমি নিজেকে বলছিলাম লাইন লেন্থ ঠিক রাখতে। ভালো লাগছে যে সেটা পেরেছি।

ম্যাচসেরা তানজিমের ভেতরেবাইরে দুই দিকের সুইংয়েই পরাস্ত হন কিউই ব্যাটাররা। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ২১ বছর বয়সী পেসার তুলে নেন রাচিন রবীন্দ্র, হেনরি নিকোলস টম ব্লান্ডেলের উইকেট। বাংলাদেশ পেসারদের এমন নৈপুণ্য মুগ্ধ করেছে স্বাগতিক অধিনায়ক টম ল্যাথামকেও। ম্যাচ শেষে টাইগার পেসারদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “অবশ্যই আমরা প্রত্যাশার চেয়েও বাজে খেলেছি...বাংলাদেশ (বোলাররা) ভালো মুভমেন্ট পেয়েছে এবং ঠিক জায়গায় বল করেছে। তাদের প্রশংসা করতেই হবে।

মন্তব্য করুন: