রান দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি, উইকেট পেয়েছেন সবচেয়ে কম
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
দলের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র পেসার তিনিই। তাকে দেখে বাকিরা অনুপ্রাণিত হবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দুই ম্যাচ খেলে তার শিকার মাত্র এক উইকেট! সেই এক উইকেট তিনি পেলেন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয় পাওয়া শেষ ম্যাচে। অথচ, দুই ম্যাচেই রান বিলিয়েছেন দেদার। বাংলাদেশ দলে এখন পেসারদের ছড়াছড়ি। তাই প্রশ্ন উঠছে, এমন মলিন পারফর্মেন্স দিয়ে আর কতদিন টিকতে পারবেন মুস্তাফিজ?
বিষয়টা মোটেও এমন নয় যে, একটা সিরিজ বা দুটি সিরিজে মুস্তাফিজ খারাপ বোলিং করেছেন। ধারাবাহিকভাবেই তিনি দলকে নিজের সেরাটা দিতে পারছেন না। ডানেডিনে প্রথম ম্যাচে ৬ ওভারে দিয়েছিলেন ৪৭ রান। পাননি কোনো উইকেট। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে একাদশে সুযোগ পাননি। শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে একটি উইকেট শিকার করেছেন মুস্তাফিজ। রান দিয়েছেন ৭.৪ ওভারে ৩৬। যা বাংলাদেশি বোলারদের মাঝে সবচয়ে বেশি। ৪টি বাউন্ডারি হজম করছেন, যা সর্বোচ্চ। নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি এসেছে মুস্তাফিজের ওভারেই।
নেপিয়ারের পেস স্বর্গে বাংলাদেশের বাকি দুই স্বীকৃত পেসার এদিন ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। শরীফুল ইসলাম দিয়েছেন ৭ ওভারে ২২ রান। ম্যাচসেরা তানজিম সাকিব ৭ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়েছেন, মেডেন আছে দুটি। এমনকী পার্টটাইম মিডিয়াম পেসার সৌম্য সরকার পর্যন্ত ৬ ওভারে ১টি মেডেনসহ মাত্র ১৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সেখানে মুস্তাফিজ পুরোপুরি বিবর্ণ। শুরুর দিকের সেই ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজ আর নেই। তার কাটারে নেই পুরনো সেই বিষ। মুস্তাফিজ আবারও পুরনো রূপে ফিরবেন- এমন আশা করা মানুষের সংখ্যা সময়ের সাথে সাথে কমে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন: