শরীরে বল ছুড়ে আউটের আবেদন, ফের সমালোচনায় হারমানপ্রীত
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
আক্রমণাত্মক মানসিকতা আর মেজাজের কারণেই যেন নিজেকে ক্রিকেটাঙ্গনে ভিন্নভাবে পরিচিত করিয়েছেন ভারত নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। প্রতিপক্ষের প্রতি তার আক্রমণাত্মক অঙ্গভঙ্গির কারণে নানা সময় আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। ফের একই কারণে আলোচনায় হারমানপ্রীত! অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট চলাকালে ব্যাটারের দিকে বল ছুড়ে মেরে “অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড” এর আবেদন করেন ভারতীয় অধিনায়ক। সেই আবেদনে আউট না দেয়ায় তিনি আম্পায়ারের প্রতি আক্রোশও প্রকাশ করেছেন!
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসের ৭৯ ওভারের তৃতীয় বলে এই ঘটনা ঘটে। ব্যাটিংয়ে ছিলেন অ্যালিসা হিলি, বল করছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক নিজেই। হিলি ডাউন দ্য উইকেটে এসে ব্যাট চালানোর বদলে বল ঠেকিয়ে ক্রিজের দিকে যাচ্ছিলেন। এর মাঝেই বল হাতে পেয়ে ব্যাটারের শরীর লক্ষ্য করে সজোরে ছুড়ে মারেন হারমানপ্রীত! হিলি ব্যাট দিয়ে কোনোক্রমে আঘাত থেকে বাঁচেন। বল তার ব্যাটে লেগে চলে যায় মাঠের বাইরে।
তখনই হারমানপ্রীত ‘অবস্ট্রাকিং দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করেন। তার দাবি ছিল, হিলি ক্রিজের বাইরে ছিলেন এবং তিনি রান আউট করার জন্য স্ট্যাম্পের দিকে বল ছুড়েছিলেন। সেই বল আটকে আউট হওয়া থেকে বেঁচেছেন হিলি! কিন্তু ফিল্ড আম্পায়ার অনিল চৌধুরী ও এন জননী হারমানপ্রীতের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। পরের বলেই অবশ্য হারমানপ্রীতের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন হিলি (৩২)। ভারত ম্যাচটি জিতে যায় ৮ উইকেটের ব্যবধানে।
হারমানপ্রীতের এমন আচরণ নিয়ে ক্রিকেটাঙ্গনে শুরু হয়েছে সমালোচনা। প্রতিপক্ষ ব্যাটারের শরীর বরবার আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বল ছুড়ে মেরে আবার নিজেদেরই ভুক্তভোগী সাজানোর চেষ্টা করেছেন ভারত অধিনায়ক! হিলির আত্মরক্ষার প্রচেষ্টাকে ফিল্ডিংয়ে বাধাদান হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। তাই কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন হারমানপ্রীত।
ভারতীয় অধিনায়কের বিরুদ্ধে আচরণগত অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগে চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও হারমানপ্রীতের আক্রোশের উদাহরণ দেখা গিয়েছিল। এক ম্যাচে আম্পায়ার তাকে আউট ঘোষণা করলে তিনি ব্যাট দিয়ে সজোড়ে স্ট্যাম্পে আঘাত করেন এবং ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে ‘হতাশাজনক’ বলে দাবি করেন।
সিরিজ শেষে দুই দলের ফটোসেশনের সময় তিনি চিৎকার করে বলেন, “আম্পায়ারদেরও নিয়ে এসো”। এটা দিয়ে তিনি আম্পায়ারদেরকে বাংলাদেশ দলের অংশ বুঝাতে চেয়েছিলেন। যার শাস্তিস্বরূপ তাকে তিনটি ‘ডিমেরিট পয়েন্ট’ দেয়া হয়েছিল। এশিয়ান গেমসের প্রথম দুটি ম্যাচও তিনি খেলতে পারেননি। তার জায়গায় ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন স্মৃতি মান্ধানা।
মন্তব্য করুন: