ক্রিকেটে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতিতে বাধা কেন , প্রশ্ন হোল্ডিংয়ের
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
পাকিস্তানের বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজে বিশেষ বার্তা বহন করে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে চেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার উসমান খাজা। তবে আইসিসি তাকে অনুমতি দেয়নি। এবার খাজার পাশে দাঁড়িয়ে আইসিসিকে ধুয়ে দিলেন উইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার মাইকেল হোল্ডিং। তার প্রশ্ন- ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ বা ‘এলজিবিটিকিউ’ আন্দোলনকে যদি সমর্থন দেয় আইসিসি, তাহলে ফিলিস্তিনের প্রতি সহংতিতে বাধা কেন?
কয়েকমাস ধরে চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি যুদ্ধে মারা যাচ্ছে অসংখ্য শিশু। যা উসমান খাজার হৃদয়ে দাগ কেটেছে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে পার্থ টেস্টে তিনি নিজের জুতায় ‘স্বাধীনতা একটি মানবাধিকার’ ও ‘প্রতিটি জীবনের মূল্য সমান’ স্লোগান লিখে মাঠে নামতে চেয়েছিলেন খাজা। কিন্তু আইসিসি তাকে অনুমতি দেয়নি। তাই স্কচটেপ দিয়ে সেই স্লোগান ঢেকে তিনি মাঠে নামেন। তবে তার হাতে ছিল কালো আর্মব্যান্ড। এ কারণে তাকে তিরস্কার করে আইসিসি।
এবার মেলবোর্নে মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাওয়া বক্সিং ডে টেস্টে খাজা জুতায় শান্তির প্রতীক জলপাইয়ের শাখা মুখে কালো ঘুঘু স্টিকার নিয়ে নামতে চেয়েছিলেন। এবারও আইসিসি তাকে অনুমতি দেয়নি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন আচরণে ক্ষুব্ধ মাইকেল হোল্ডিং ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমি খাজাকে নিয়ে উদ্ভূত গোলমালের ব্যাপারটি অনুসরণ করছি। তবে আইসিসির অবস্থানে বিস্মিত হইনি। কারণ তারা আগেও অনেকবার এমন দ্বৈত আচরণ করেছে। তাদের ভণ্ডামি আর নৈতিক অবস্থানের ঘাটতির বিষয়টা আরও একবার প্রকাশ পেল।”
‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন হোল্ডিং। সেই আন্দোলন নিয়ে তিনি ‘হোয়াই উই নিল, হাউ উই রাইজ’ নামে একটি বইও লিখেছেন। ওই সময় ক্রিকেট ম্যাচগুলোতে দুই দলের ক্রিকেটাররা মাঠে হাঁটু গেড়ে বসে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে সংহতি জানাতেন। এছাড়া সমকামীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সংহতি জানাতে একবার আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্টাম্পগুলো রংধনুর রঙে রাঙানো হয়েছিল।
সেই বিষয়গুলো টেনে এনে হোল্ডিং আরও বলেছেন, “আইসিসির নিয়ম বলে, ‘রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং বর্ণ বিষয়ক আন্দোলনের কোনো বার্তা দেওয়া যাবে না। তাহলে বিএলএমের (ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার) সময় কীভাবে মানুষকে হাঁটু গেড়ে সংহতি জানানোর অনুমতি দেওয়া হলো? কীভাবে স্টাম্প এলজিবিটিকিউয়ের রঙে ঢেকে দেওয়া হলো? আমি সব নিয়মই মেনেছি আর অতীতেও এমন ঘটনা আছে—ব্যাটে কেউ স্টিকার লাগিয়েছে, জুতায় নাম লিখেছে। অতীতে এমনটা করা হয়েছে আইসিসির অনুমতি ছাড়াই এবং ভর্ৎসনাও শুনতে হয়নি।”
মন্তব্য করুন: