দলীয় পারফরমেন্সেই স্মরণীয় জয়: শেখ মাহেদী
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
দশমবারের চেষ্টায় নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টুয়েন্টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং – তিন বিভাগেই দারুণ পারফর্ম করে ৫ উইকেটে জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আর দলের ঐতিহাসিক এ জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন শেখ মাহেদী হাসান। তবে এই অফ-স্পিনার জয়ের কৃতিত্ব একা নিজে নিতে নারাজ। দলগত পারফরমেন্সের কারণেই টাইগাররা সহজেই ম্যাচ জিতেছে বলে তার মত।
গত ২৩ ডিসেম্বর নেপিয়ারে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো সাদা বলের ক্রিকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। আর চার দিনের মাথায় বুধবার একই মাঠে টি-টুয়েন্টিতেও অধরা জয়টাকে নিজেদের করে নেয় লালা-সবুজের দেশটি। ওয়ানডে জয়ে পেসারদের ভূমিকা সবচেয়ে বড় থাকলেও টি-টুয়েন্টিতে মূল পার্থক্যটা গড়ে দেয় মাহেদীর বোলিং। ৪ ওভারে ১৪ রান খরচায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে সাংবাদিকদের ম্যাচসেরা মাহেদী বলেন, “একটা দল জিততে হলে আসলে সবার পারফরমেন্স গুরুত্বপূর্ণ। দেখেন, এক-দুইজনের পারফরমেন্সটা গুরুত্বপূর্ণ না। দলগত খেলা, কমবেশি পারফরমেন্স কমবেশি সবাই করে। আলহামদুলিল্লাহ স্পিনাররাও ভালো বোলিং করেছে, পেস বোলাররা মাশাল্লাহ ভালো বোলিং করেছে এইজন্য হয়তোবা আমরা ওদের কম রানে আটকাতে পেরেছি এবং আমরা জিতেছি।”
ম্যাচের প্রথম ওভারেই কিউই ওপেনার টিম সাইফার্টের উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন ২৯ বছর বয়সী মাহেদী। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই তুলে নেন ড্যারিল মিচেলের উইকেটও। নিউ জিল্যান্ডের মতো কঠিন কন্ডিশনে শুরুতেই বল করা চ্যালেঞ্জিং কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মাহেদী বলেন, “দেখেন, চ্যালেঞ্জিং না, আমি তো প্রথম ওভার করতে অভ্যস্ত, যে কন্ডিশনেই হোক। আমার কাজ বোলিং করা। আসলে টিম ম্যানেজমেন্ট আমার উপর বিশ্বাস করছে এজন্য আমাকে প্রথম ওভার দিছে সেটা যেকোনো কন্ডিশনে হোক আমার করতে হবে। এটাই আরকি।”
মন্তব্য করুন: