জয়ের পথে লিটনের মাস্টারপ্ল্যানের কথা জানালেন মাহেদী
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ঐতিহাসিক টি-টুয়েন্টি জয়ের মূল কাজটা করে রেখেছিলেন বোলাররা। তাদের নৈপুণ্যে স্বাগতিকদের কেবল ১৩৪ রানের মধ্যে আটকিয়ে রাখে বাংলাদেশ। কিন্তু ৯৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ কিছুটা চাপেই পড়েছিল। সেখান থেকে লিটন দাস ও শেখ মাহেদী হাসানের ৪০ রানের জুটিতে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই ম্যাচ নিজেদের করে নেয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
মাহেদী যখন ক্রিজে আসেন তখন জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ৩৩ বলে ৩৮ রান। সমীকরণ সহজ মনে হলেও স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে ছিলেন শুধু লিটন। অন্যদিকে, বল হাতে সফরকারীদের বেশ চাপেই রাখেন কিউই বোলাররা। ইনিংসের শুরু থেকেই ক্রিজে থাকা লিটন তখন মাহেদীকে পরামর্শ দেন তার স্বাভাবিক খেলাটা খেলার। পরিকল্পনা ছিল- শেষ দুই ওভারে তারা ম্যাচ জয়ের দিকে এগুবে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ম্যাচসেরা মাহেদী বলেন, “যেহেতু লিটন লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করছিল, সেহেতু উইকেট এবং ম্যাচ সম্পর্কে ওর ভালো আইডিয়া হয়ে গিয়েছিল যে, এই ম্যাচটা জিততে আরেকটি ছোট পার্টনারশিপ হলে টিমের জন্য ভালো হবে। আমাদের ভালো পার্টনারশিপ হচ্ছিল কিন্তু মাঝখানে আবার দুইটা-তিনটা উইকেট চলে গেছে। লিটন বলেছিল- শুধু পজিটিভ থাক আর স্বাভাবিক খেলাটা খেল। যা হবে শেষ দুই ওভারে দেখা যাবে।”
লিটনের এই পরিকল্পনা সফল হয়েছিল। ৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। যদিও রান তাড়ায় টাইগারদের ইনিংসটা আদর্শ ছিল না। লিটন (৪২*) ছাড়া কেউ ত্রিশের ঘরেও যেতে পারেননি। তাই ছোট ছোট জুটিতে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। এক পর্যায়ে সৌম্য, হৃদয় এবং আফিফ ফিরে গেলে পরাজয়ের শঙ্কাও দেখা দেয়। টি-টুয়েন্টিতে ম্যাচের গতিপথ যে কোনো মুহূর্তে পরিবর্তন হতে পারে- সেটাও মনে করিয়ে দেন মাহেদি।
এই স্পিনার আরও বলেন, “এটা সহজেই তাড়া করার মতো উইকেট ছিল। আর ওরা (নিউ জিল্যান্ড) যে রান লক্ষ্য দিয়েছে তা আরামে তাড়া করার মতোই। দেখেন ক্রিকেটে যে কোনো সময় গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। একটা সময়, প্রথম ধপে আমরা এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু মাঝখানে ওরা আবার ম্যাচে ফিরে আসে। আবার শেষে আমরা ভালোভাবে শেষ করে আসতে পেরেছি। ক্রিকেটের মধ্যে এটা হবেই। মোমেন্টাম যখন তখন পরিবর্তন হবেই।”
মন্তব্য করুন: