ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজে ঘরের মাঠে প্রথম সেঞ্চুরি এলগারের
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, ভারতের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজ দিয়েই ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে যাচ্ছেন। ডিন এলগারের শেষের শুরুটা হলো দারুণভাবে। সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে হাঁকালেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। এই সেঞ্চুরির মাহাত্ম্য অবশ্য অন্য জায়গায়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যান্য মাঠে তার টেস্ট সেঞ্চুরি থাকলেও ঘরের মাঠ সেঞ্চুরিয়নেই ছিল না! সেই আক্ষেপ এবার ঘুচল।
সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে ২৫৬ রান তোলা দক্ষিণ আফ্রিকা লিড নিয়েছে ১১* রানের। ১৪০ রানে অপরাজিত আছেন এলগার। ক্যারিয়ারের চতুর্দশ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিতে তিনি সময় নিয়েছিলেন ১৪০ বল। দাপুটে ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত সব স্ট্রোক খেলা এলগার সেঞ্চুরি পূরণের পর মেতে উঠেছেন বুনো উদযাপনে। সাধারণত তাকে এমন বুনো উদযাপন করতে দেখা যায় না। কিন্তু ঘরের মাঠের প্রথম সেঞ্চুরি বলে কথা। সংবাদ সম্মেলনে এসেও এলগার জানালেন তার তৃপ্তির কথা।
প্রোটিয়া ওপেনারের ভাষায়, “সেদিন ওদের (সতীর্থ) সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল এটা নিয়ে। ওরা তো অবাক! ভেবেছিল যে এখানে বেশ কয়েকটি সেঞ্চুরি করে ফেলেছি। আমি বললাম, ‘না, এখানে আমি স্রেফ রাবিশ।’ তবে এখন হয়তো অতটা ‘রাবিশ’ নই! আমার জন্য এটা স্পেশাল এক ম্যাচ। সেঞ্চুরিয়নে সেঞ্চুরি ছিল না আমার- ক্যারিয়ারজুড়ে এটা বারবারই দূরে সরে গেছে। এবার এখানে আমার পরিবার, বন্ধুরা সবাই আছে, এই মাঠে আমার শেষ টেস্ট বলে সবাই এসেছে। অবশেষে সুপারস্পোর্ট পার্কের অনার্স বোর্ডে নাম লেখাতে পেরে আমি খুশি।”
এলগারের ক্যারিয়ারের আরেকটি দারুণ অর্জন হলো, দক্ষিণ আফ্রিকার যেসব টেস্ট ভেন্যুতে তিনি খেলেছেন, সবগুলোতেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অনার্স বোর্ডে তিনি নিজের নাম লেখাতে পেরেছেন। এবার শেষ সিরিজেও দাগ কেটে যেতে চান এই তারকা, “আমার মনে হয় না, কিছু প্রমাণের আছে আমার। আমি স্রেফ এখনও দলে অবদান রাখতে চাই। দারুণভাবে বিদায় নিতে চাই, এই টেস্ট ম্যাচ ও সিরিজ জিততে চাই। হারানোর কিছু নেই আমার। আমি সফল হই বা ব্যর্থ, এই সিরিজ তো এমনিতেই আমার শেষ! এই মুহূর্তে চাই দলে অবদান রাখতে, দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে এবং যতটা সম্ভব প্রভাব ফেলতে।”
মন্তব্য করুন: