বৃষ্টির বাগড়ায় পরিত্যক্ত বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড ম্যাচ
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে প্রথম টি-টুয়েন্টি জয়ের পর এবার লক্ষ্যটা সিরিজ জয়ের। আগের ম্যাচে মূল কৃতিত্বটা ছিল বোলারদের। দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত সূচনা করা কিউইদের এবারও কিছুটা চেপে ধরেন তারা। ছয় ওভারের আগেই ৫০ রান করা স্বাগতিকরা প্রথম ১০ ওভার শেষ করে দুই উইকেটে ৬৭ রানে। পরের ওভার শেষেই বৃষ্টির হানায় খেলা বন্ধ করা হয়। এরপর দীর্ঘ দুই ঘন্টার অপেক্ষা শেষে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। প্রথম দিকে স্বাগকিদের কম রানে আটকে রাখার ইঙ্গিত দেন টাইগার বোলাররা। তবে চাপ সামলে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন কিউই ব্যাটাররা। সঙ্গে শুরু হয় সফরকারীদের বাজে ফিল্ডিং। শুধুমাত্র দশম ওভারেই দুটি ক্যাচ হাতছাড়া করেছে তারা।
দ্বিতীয় ওভারে শরীফুল ইসলামের বলে রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন ফিন অ্যালেন (২)। এরপর ড্যারিল মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে আগুন ঝড়ানো ব্যাটিং শুরু করেন টিম সাইফার্ট। তার একের পর এক চার-ছক্কায় পাঁচ ওভার তিন বলে পঞ্চাশে পা রাখে নিউ জিল্যান্ড।
অষ্টম ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ছয় বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৪৩ রান করা সাইফার্ট। এরপর থেকে একাদশ ওভার পর্যন্ত একটি বাউন্ডারির দেখাও পাননি মিচেল-গ্লেন ফিলিপস।
দশম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ডিপ কভার পয়েন্টে মিচেলের ক্যাচ হাতছাড়া করেন আফিফ হোসেন। তৃতীয় বলের পর হালকা বৃষ্টি পড়লেও খেলা থামাতে হয়নি। পঞ্চম বলে মিচেলের আরেকটি ক্যাচ হাতছাড়া করেন সাকিব। একাদশ ওভারের পর মুষলধারে বৃষ্টি নামলে খেলা বন্ধ করা হয়। তখন পর্যন্ত দুই উইকেট হারানো নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৭২ রান।
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টি থেকে ছিটকে গেছেন লিটন দাস। তার বদলি হিসেবে দলে ছিলেন শামীম হোসেন। এছাড়া দলে আর কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ। অন্যদিকে, সিরিজে ফিরতে মরিয়া নিউ জিল্যান্ড প্রথম ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নামে।
দ্বিতীয় ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। আগামী রোববার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল। ম্যাচটি জিততে পারলে প্রথমবার কিউইদের মাঠে কোনো সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়বে শান্তর দল।
মন্তব্য করুন: