টেস্ট ক্রিকেট আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে, প্রত্যাশা কামিন্সের
২ জানুয়ারি ২০২৪
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আনকোরা খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দল ঘোষণা নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় তোলপাড় চলছে। অনেকেই মনে করছেন, এর মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেটের শেষের শুরু হলো। সোমবার অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ এমন শঙ্কা ব্যক্ত করে ভারত, ইংল্যান্ড এবং তার নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনা করেন। এবার সেই ঢেউ আছড়ে পড়ল সিডনি টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে।
স্টিভের উত্তরসূরি প্যাট কামিন্স অবশ্য টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে এতটা চিন্তিত নন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিডনি টেস্ট শুরুর আগের দিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক বলেন, টেস্ট ক্রিকেট আবারও ঘুরে দাঁড়াবে, “আমার আশা, আগামী ১০ বা ২০ বছরে এটি এখনকার চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। …. পাকিস্তানের বিপক্ষে (অস্ট্রেলিয়ার) দুটি দুর্দান্ত টেস্ট ম্যাচ হয়েছে, অনেক সমর্থন, অনেক দর্শক ছিল। ফলে যেভাবে বলা হচ্ছে যে এটি নিচের দিকে যাচ্ছে, আমি তা মনে করি না।”
নিজেদের ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টুয়েন্টি লিগের জন্য মূল ক্রিকেটারদের ছাড়াই নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দল ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৪ জনের দলে নতুন মুখই সাত জন! বিষয়টি নিয়ে তুমুল সমালোচনা হলেও কামিন্স এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছেন, “আমি বেড়ে উঠেছি টেস্ট ক্রিকেটকে দারুণ ভালোবেসে। আমার মনে হয়, এটি বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যায়। আমি জানি, দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের সেরা দলটি পাঠাচ্ছে না। আশা করি, এটি (বিচ্ছিন্ন) একটা ঘটনা হয়ে থাকবে।”
ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ টেস্ট ক্রিকেটকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেয়। তাদের দর্শকরাও ভালোবাসে টেস্ট ক্রিকেট। মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ‘বক্সিং ডে’ টেস্টের প্রথম দুই দিনেই লক্ষাধিক দর্শক হয়েছিল। কিন্তু অন্যান্য টেস্ট খেলুড়ে দেশে এমন দৃশ্য দেখা যায় না। কামিন্সের দুশ্চিন্তা সেখানেই, “অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি মৌসুমই আগেরবারের চেয়ে বড় মনে হয়। তবে অন্য দেশে গেলে ব্যাপারটি অন্যরকম। কিছু ব্যাপারে মাঝেমধ্যে চিন্তাই হয়। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের এত সমর্থক এর আগে কখনোই ছিল বলে মনে হয় না। বিশ্বে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সমর্থক এখন ক্রিকেট দেখছে।”
টি-টুয়েন্টের আগ্রাসনের মাঝে টেস্ট ক্রিকেট টিকিয়ে রাখার উপায়ও জানালেন অজি অধিনায়ক, “টেস্ট ক্রিকেট ভালোবাসি বিধায় আমি তো চাইব সবাই টেস্ট ম্যাচ দেখুক। কিন্তু এ মুহূর্তে টি-টুয়েন্টি যতটা শক্তিশালী, আগে কখনো দেখিনি। আদর্শগতভাবে টেস্ট ক্রিকেট টিকিয়ে রাখতে গেলে ১৫-২০টি টেস্ট খেলুড়ে দেশ প্রয়োজন, যারা সত্যিই শক্তিশালী। আমি জানি, অনেক রকমের চ্যালেঞ্জ আছে। অস্ট্রেলিয়ায় এটি প্রাধান্য পাওয়ায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়। যখনই টেস্ট খেলি, অনেক সমর্থন পাই। আমি জানি না, এর জাদুকরি সমাধান কী হতে পারে, তবে এমন কিছু থাকলে দারুণ হতো।”
মন্তব্য করুন: