পাকিস্তানকে ধবলধোলাই, ওয়ার্নারকে স্মরণীয় বিদায় জানাল অস্ট্রেলিয়া
৬ জানুয়ারি ২০২৪
নিজের চেনা রূপেই যেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ঘরের মাঠ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) বাঁহাতি এই ওপেনারের দুর্দান্ত এক অর্ধ-শতকে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। একই সঙ্গে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে বেনো-কাদির ট্রফিও নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা। আর টানা ১৭ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয়হীন থেকে আরেকটি হতাশার টেস্ট সিরিজ শেষ করেছে পাকিস্তান।
ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংসে দলকে জিতিয়েই হয়তো মাঠ ছাড়ার ইচ্ছা ছিল ওয়ার্নারের। কিন্তু দলের জয় থেকে ১১ রান দূরে থাকতে অফ-স্পিনার সাজিদ খানের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন কিংবদন্তি এই অজি ব্যাটার। ৭৫ বলে ৭ চারে ৫৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে শেষবারের মতো সাজঘরে ফেরার সময় এসসিজির প্রায় ২৪ হাজার দর্শক দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে বিদায় জানান ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ওপেনারকে।
এরপর অবশ্য স্টিভ স্মিথকে (৪*) সঙ্গে নিয়ে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন ৬২ রান করা মারনাস লাবুশেন।
এর আগে ৭ উইকেটে ৬৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করা পাকিস্তান বেশি দূর এগুতে পারেনি। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আমের জামালের প্রতিরোধের পর ১১৫ রানেই গুঁটিয়ে যায় সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংস। অষ্টম উইকেটে রিজওয়ান ও জামালের ৪২ রানের জুটির সুবাদে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩০।
তৃতীয় দিনের শেষ ভাগে জশ হ্যাজেলউড এক ওভারে তিন উইকেট শিকার করে পাকিস্তানের মিডল-অর্ডার ভেঙে দেন। আর চতুর্থ দিন সকালে রিজওয়ানকে (২৮) ফিরিয়ে সফরকারীদের লড়াকু সংগ্রহের আশা শেষ করেন নাথান লায়ন। পরের ওভারে আমেরকে (১৮) অধিনায়ক প্যাট কামিন্স তুলে নিলে দ্রুতই শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস। ১৬ রানে ৪ উইকেট নেন হ্যাজেলউড। আর লায়নের শিকার ৩ উইকেট।
জবাবে প্রথম ওভারেই দলের খাতায় কোনো রান যোগ না হতেই উসমান খাজাকে সাজঘরে ফেরান সাজিদ। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ১১৯ রানের জুটি গড়ে স্বাগতিকদের জয়ের রাস্তা সহজ করে দেন ওয়ার্নার ও লাবুশেন।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ৮২ রানের পর বল হাতে ৬ উইকেট নেন আমের। দুর্দান্ত এই পারফরমেন্সে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। অন্যদিকে, সিরিজে তিনবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারসহ মোট ১৯ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছে অজি অধিনায়ক কামিন্স।
মন্তব্য করুন: