তাদের আমৃত্যু ভালোবাসি : ডেভিড ওয়ার্নার
৬ জানুয়ারি ২০২৪
সিডনি টেস্ট শেষ হতেই অস্ট্রেলিয়ার জয়ের চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়াল ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ব্যাট হাতে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন এই আগ্রাসী ব্যাটার। সাদা পোশাকে তাকে আর দেখা যাবে না বাইশ গজে। প্রথম ইনিংসে ত্রিশের ঘরে থেমেছিলেন, ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংসে করলেন ফিফটি। বিদায়বেলায় বড় কিছু করতে না পারলেও ওয়ার্নারের বহু স্মরণীয় ইনিংস লেখা থাকবে ক্রিকেট ইতিহাসে।
ধারাভাষ্যকার মাইকেল হাওয়ার্ডের সঙ্গে মাঠে কথা শেষ করার পর বাঁ হাত দিয়ে বাঁ চোখের কোনা মুছছিলেন ওয়ার্নার। এর আগেই বিদায় সম্ভাষণে তিনি বললেন, “আমার মনে হয় যখন তাদের (সতীর্ত) মাঠে নামতে দেখব কিন্তু আমি খেলব না, একটু খারাপ লাগবেই। তবে যেটা বলেছি, এই দলটা দারুণ। আমাদের বেশির ভাগের বয়সই ত্রিশের ওপর। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা আরও তরুণ না হলেও এই দলটা বিশ্বমানের এবং অসাধারণ।”
ক্যারিয়ারজুড়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দর্শকদের বিনোদন দিয়ে এসেছেন ওয়ার্নার। বিদায়বেলায় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, লোকে তাকে কেন মনে রাখবে? জবাবে ওয়ার্নার বলেছেন, “রোমাঞ্চকর ও বিনোদনদায়ী হিসেবে (আমাকে মনে রাখবে)। যেভাবে খেলেছি, তাতে লোকের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি বলে বিশ্বাস করি। আশা করি তরুণেরাও আমাকে অনুসরণ করবে। সাদা বল থেকে টেস্ট ক্রিকেট—এটাই আমাদের খেলার শীর্ষবিন্দু। তাই কঠোর পরিশ্রম করো এবং লাল বলের ক্রিকেট খেলো; কারণ, এটাও মজার।”
১১২ টেস্টের ২০৫ ইনিংসে ৪৪.৫৯ গড় এবং ২৬ সেঞ্চুরিতে ৮৭৮৬ রানের মালিক ওয়ার্নারের বিদায়ের দিনে গ্যালারিতে ছিল তার পরিবার। খেলা শেষে তাদের জড়িয়ে ধরেন ওয়ার্নার। হাওয়ার্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উঠে আসে পরিবারের কথাও, “আমার পরিবারটা দারুণ। তাদের সাহায্য ছাড়া আমি এসবের কিছুই করতে পারতাম না। মা–বাবার অবদানও কম নয়, তারা আমার সুন্দর বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করেছেন। ভাই স্টিভ, যাকে আমি অনুসরণ করেছি।”
সহধর্মীনী ক্যানডিস ওয়ার্নারকে নিয়ে ধরা গলায় এই অজি ওপেনার বলতে থাকেন, “ক্যানডিসকে ধন্যবাদ, সে আমার জন্য যা করেছে! তুমিই আমার জগৎ। অসাধারণ একটা পরিবার আমার। তাদের সঙ্গে প্রতিটি মুহূর্ত আমি উপভোগ করি। তাদের আমৃত্যু ভালোবাসি এবং আমি এটা নিয়ে বেশি কথা বলব না, আবেগতাড়িত হয়ে পড়ব।”
মন্তব্য করুন: