মাশরাফির বিসিবি সভাপতি হওয়া নিয়ে যা বললেন পাপন

১২ জানুয়ারি ২০২৪

মাশরাফির বিসিবি সভাপতি হওয়া নিয়ে যা বললেন পাপন

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে আরও প্রায় দুই বছরের মতো মেয়াদ আছে নাজমুল হাসান পাপনের। তবে তিনি বাংলাদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী হওয়ায় বিসিবির সভাপতির পদ ছাড়তে চান। এদিকে গুঞ্জন শুরু হয়েছে যে, মাশরাফি বিন মুর্তজাকে বিসিবি সভাপতি বানানো হবে কিনা। কিন্তু আইসিসি এবং বিসিবির আইনে আপাতত সেটা সম্ভব নয়।

শুক্রবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মাশরাফির বিসিবি সভাপতি হওয়ার ক্ষেত্রে আইনী বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এছাড়া মাশরাফির আগে সভাপতি হওয়ার দৌড়ে বিসিবির অনেক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এবং সিনিয়র সাবেক অধিনায়কেরা আছেন। তিনি আরও জানান, পাপনের বিসিবি সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়াটাও খুব একটা সহজ নয়। আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের অনুমোদন নিতে হবে।

বিসিবি সভাপতি বলেন, আইনে কোনো সমস্যা নেই, এটাই হচ্ছে বড় কথা। কথা হচ্ছে এক সঙ্গে যদি দুটোতে থাকি তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে ক্রিকেটের প্রতি আমার দৃষ্টিটা একটু বেশি। এটা সকলের ধারণা, এটা অস্বাভাবিক কিছু না। যদিও আমি বলে রাখি, আমি যদি এই ক্রিকেট বোর্ড, মন্ত্রণালয়ে নাও থাকি, তবু ক্রিকেট সবসময় আমার সঙ্গে থাকবে। এটা মন থেকে তো আর সরানো যাবে না। কিন্তু ভালো হয় যদি আলাদা হওয়া যায়। তাহলে আর মানুষের মধ্যে ওই সন্দেহটা হবে না, যে হয়তো ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ আমি গুরুত্ব সবগুলোকে দিতে চাই। তবে প্রায়োরিটি ভিত্তিক।

টানা তৃতীয় মেয়াদে বিসিবি সভাপতির দায়িত্বে থাকা পাপন আরও বলেন, আমি এই টার্মে (সভাপতি) হতে চাইনি। ইচ্ছে ছিল না, কিন্তু হয়েছি। আগে থেকেই বলেছি, এটাই আমার শেষ টার্ম। এখন যেহেতু একটা নতুন দায়িত্ব এসেছে, আমার মনে হয় এখন সরে যেতে পারলে ভালো। তবে আমি এমন কিছু করব না, যাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ক্ষতি হয়। যেটা ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে, তাই করব। সঠিক পথে আগে বের হয়ে আসতে পারলে আসব, তবে আসার আগে এটাও নিশ্চিত করব যে কোনো সমস্যা হবে না। সামনে কী হবে, সেটা পরিস্থিতির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। অনেক কিছুই আমি কখনো ভাবিনি আমি করব, কিন্তু এখন তো হচ্ছে।

পাপন জানান, চাইলেই বিসিবি সভাপতির পদ ছেড়ে দেওয়া যায় না। এতে আইসিসির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, প্রথম কথা হচ্ছে ইচ্ছা করলেই ছেড়ে দেওয়া যায় না। সেটা আমরা জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রেও দেখেছি দুই বছর তারা প্রায় নিষিদ্ধ, শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও এবার দেখেছি। আমি মনে করি তাড়াহুড়ো করে এমন কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না, যেটা দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করতে পারে। ওদের (আইসিসি) সঙ্গে আমার কথাটা বলতে হবে। এখানে দুটো জিনিস আছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে আইসিসি চায় তাদের ইলেকটেড বডি (নির্বাচিত কমিটি) পূর্ণমেয়াদ শেষ করুক। আর একটা হচ্ছে আইসিসির মেয়াদ। আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে।

আইসিসির মেয়াদ শেষে যদি পাপন দায়িত্ব ছেড়ে দেন, তাহলে সভাপতি হবেন কে? মাশরাফির কি কোনো সুযোগ আছে? জবাবে পাপন বলেন, এক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের পরিচালক আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে (বিসিবি সভাপতি)। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই। (মাশরাফিকে) প্রথমে কাউন্সিলরশিপ নিতে হবে। এরপর নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। নির্বাচিত যারা হয়ে আসবে, তারাই ঠিক করবেন কে সভাপতি হবে। প্রক্রিয়াটা খুবই সহজ। এখন ধরেন, ধরে নিলাম আমার বোর্ডের সবাই আছে, খালি নতুন ২/১ জন আসল। এখানে সিনিয়রদের মধ্যে আছেন, সিরাজ ভাই, ববি ভাই, জালাল ইউনুস, মাহবুব উল আনাম। আবার ক্রিকেটারদের মধ্যেও সিনিয়র যারা আছে, আকরাম খান, দুর্জয়, সুজনঅনেকেই আছে। তারা কাকে বেছে নেবে এটা বলা কষ্ট। বাইরে থেকে চাপানোর কোনো সুযোগই নেই।

 

মন্তব্য করুন: