বকেয়া পারিশ্রমিক: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দায় চাপাল ক্রিকেটারের ওপর
১৩ জানুয়ারি ২০২৪
বিপিএল শুরুর প্রাক্কালে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে উঠল পারিশ্রমিক বকেয়া রাখার অভিযোগ। টুর্নামেন্টের গত আসরে দলটিতে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটার অভিষেক মিত্র শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্টে এই অভিযোগ আনেন। এরপর শনিবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজি। এক বছর হয়ে গেলেও কেন পারিশ্রমিক বকেয়া রাখা হলো- সে ব্যাপারে ফ্র্যাঞ্চাইজির মুখপাত্র কোনো সুদুত্তর দিতে পারেননি।
বকেয়া পরিশোধে চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করছে জানিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ফেইসবুক পেইজে অভিষেক লেখেন, “চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স আমার গত বিপিএলের পাওনা টাকা এখনও পরিশোধ করেনি। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ ও অর্থের জন্য খেলি। কিন্তু এরকম দলগুলো (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) বারবার তারিখ পরিবর্তন করেও খেলোয়াড়দের তাদের টাকা দিচ্ছে না। বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই এই বিষয়ে নিশ্চুপ। আমি দলের বর্তমান অপারেশন্স ম্যানেজারের সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলি। কিন্তু তিনি এই বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং মিথ্যা তারিখ দেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটা খুবই দুঃখের এবং খারাপ।”
আরও পড়ুন : চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে পাওনা টাকা দাবি ক্রিকেটারের
এই অভিযোগের বিষয়ে শনিবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইমরান নামের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, “উনার সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছিল। আমি উনাকে জিজ্ঞেস করি, কোন ক্যাটাগরিতে ছিলেন। উনি প্রথমে বলেছিলেন ১০ লাখ টাকার ক্যাটাগরি। আসলে উনি ৫ লাখের ক্যাটাগরিতে ছিলেন। তাকে ড্রাফটের বাইরে থেকে দলে নেওয়া হয়েছিল। আমি অ্যাকাউন্টের সাথে কথা বলে জানতে পারি, উনাকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পেমেন্ট করা হয়েছে। বাকি আছে ১ লাখ ২৫ হাজার। কিন্তু এর মাঝে ট্যাক্সের টাকা কাটা যাবে। বাকি টাকা পেয়ে যাবেন।”
তিনি আরও বলেন, “উনি বলল, আমার তো ট্যাক্সের টাকা কাটা যাবে না। আমি বললাম, এটাই নিয়ম। তাকে অফিসে আসতে বলি। ট্যাক্সের টাকা তো সরকারের আইন। আমাদের তো ট্যাক্সের টাকা সরকারকে দিতেই হবে। আমি কখনো বলিনি যে টাকা দেওয়া হবে না। তাকে বলেছি, অফিসে আসেন। অফিসেই সব সমাধান হবে। উনি সহযোগিতা করেননি। উনি সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো গুজব ছড়িয়ে দিলে তো কিছু করার থাকে না। আমরা অফিসিয়ালি বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে ভাবছি। ট্যাক্সের টাকা কাটার পর তার আরও ৫০ হাজার টাকার মাতো পাওয়ার কথা।”
চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষের কথা সঠিক হিসেবে ধরে নিলেও প্রশ্ন তোলার অবকাশ থাকে যে, এক বছরেও কেন বকেয়া ৫০ হাজার টাকা সেই ক্রিকেটারকে বুঝিয়ে দেওয়া হলো না? এই প্রশ্নের কোনো সরাসরি জবাব দিতে পারেননি ইমরান। উল্টো দায় চাপিয়েছেন অভিষেকের ওপর, “উনি সেভাবে সহযোগিতা করেননি। উনি সহযোগিতা করলে বিষয়টা এতদূর আসত না। (গত রাতে পোস্ট দেওয়ার পর) আমি উনার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করিনি, উনিও আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি।”
মন্তব্য করুন: