মোহাম্মদ শামির ভাই কে এই মোহাম্মদ কাইফ?

১৫ জানুয়ারি ২০২৪

মোহাম্মদ শামির ভাই কে এই মোহাম্মদ কাইফ?

ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফের নামটা শুনলেই মনে পড়ে যায় ২০০২ সালের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালের কথা। তার সেই ৭৫ বলে ৮৭ রানের ইনিংস জয় এনে দিয়েছিল ভারতকে। লর্ডসের বারান্দায় জার্সি উড়িয়েছিলেন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। এত বছর পর ভারতের ক্রিকেটে আরও এক মোহাম্মদ কাইফের দেখা মিলেছে। পেস তারকা মোহাম্মদ শামির ভাই কাইফ এখন বাংলা দলের হয়ে রঞ্জি খেলছেন।

ভারতের পেস মায়েস্ত্রো মোহাম্মদ শামির ক্যারিয়ারের উত্থান শুরু হয়েছিল কলকাতা থেকে। কাইফের ক্ষেত্রেও তাই। বড় ভাইয়ের সঙ্গে অল্প বয়সে কলকাতায় পাড়ি জমান কাইফ। জায়গা করে নেন বাংলার বয়সভিত্তিক দলে। অনূর্ধ্ব-২৩ দলে তিনি খেলেছিলেন সৌরাশিস লাহিড়ীর প্রশিক্ষণে। সৌরাশিস এখন বাংলা দলেরও সহকারী কোচ।

ভারতের একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাইফকে নিয়ে সৌরাশিস বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে কাইফ কলকাতায় এসেছিল। ছোটবেলায় খেলত ডালহৌসিতে। পরে টাউন ক্লাবে যায়। আমি ওর বড় ভাই শামির সঙ্গে খেলেছি। সে আমার খুবই ভালো বন্ধু। শামি বলত যে ওর ভাইও ক্রিকেট খেলছে। তবে কাইফের সঙ্গে আমার দেখা হয় অনূর্ধ্ব-২৩ দলে। ক্লাব ক্রিকেটে ভালো খেলে সে জায়গা করে নিয়েছিল। ধারাবাহিক পারফর্ম করে এবার সে রঞ্জি দলে সুযোগ পেয়েছে।

২৭ বছর বয়সী কাইফ মিডিয়াম পেসের পাশাপাশি ব্যাটিংটাও জানেন। গত ম্যাচেই অন্ধ্রের বিপক্ষে রঞ্জি অভিষেকে নেন ৩ উইকেট। এরপর উত্তরপ্রদেশের বিপক্ষে চলতি দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে নেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত ৩টি শিকার ধরেছেন। সেইসঙ্গে ব্যাট হাতে খেলেছেন ৪৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।

কাইফের ব্যাটিং নিয়ে সৌরাশিস বলেন, কাইফ মূলতঃ মিডিয়াম পেসার। কিন্তু ব্যাটিংটাও ভালো করে। সে বুঝতে পারে কোন সময় কোন ধরনের শট খেলা উচিত। সেটাই কাইফকে বাকিদের থেকে আলাদা করে দেয়।

এই বাংলা দলের হয়ে খেলেই ভারতের জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন মোহাম্মদ শামি। এখন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার। এবার বাংলার হয়ে ছোট ভাইয়ের রঞ্জি অভিষেক করায় উচ্ছ্বসিত শামি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, দীর্ঘ পরিশ্রমের পর অবশেষে বাংলার রঞ্জি ক্যাপ পেয়েছ। চিয়ার্স। এটা দারুণ কৃতিত্ব। তোমাকে অভিনন্দন। আশা করি তোমার জন্য সুন্দর ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে। সব সময় নিজের শতভাগ উজাড় করে দেবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

মন্তব্য করুন: