রেকর্ড গড়েও রাজার মুখে রাজ্যের অন্ধকার
১৫ জানুয়ারি ২০২৪
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪২ বলে ৬২ রানের ঝলমলে ইনিংস। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা ৫ ইনিংসে ফিফটি করা প্রথম ব্যাটসম্যান হয়ে গেছেন সিকান্দার রাজা। এরপর ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ভেঙে দেন শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডার। তবু জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে। রেকর্ড গড়া রাজার মুখে তাই রাজ্যের অন্ধকার।
রোববার কলম্বর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শেষ বলে ৩ উইকেটের নাটকীয় জয় পায় শ্রীলঙ্কা। সম্ভাবনা জাগিয়েও জিততে না পেরে আরও একবার হৃদয় ভাঙার যন্ত্রণায় ডুবতে হয় রাজাদের। গত দুই বছর ধরেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অসাধারণ ধারাবাহিক পারফর্মেন্স করে যাচ্ছেন রাজা। কিন্তু ক্রিকেট তো একটি দলীয় খেলা, তাই একা রাজার পারফর্ম্যান্সে জিম্বাবুয়ের ভাগ্য বদল হচ্ছে না। জয়ের কাছে গিয়ে ছিটকে যাওয়া যেন জিম্বাবুয়ের জন্য নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ কারণেই ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জিম্বাবুয়ের টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক রাজার কণ্ঠে ঝরল হতাশা, “বেশ অনেক দিন ধরে এটিই জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের গল্প (কাছে গিয়েও হার)। তবে ভালো ব্যাপার হলো যে, দলের সবাই উপলব্ধি করতে পারে, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের দায় আমাদেরই। দল আজকে যেভাবে লড়েছে, তাতে আমি গর্বিত। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটা সেরকম ম্যাচগুলিরই একটি, যেটা শেষ বল পর্যন্ত গড়িয়েছে এবং আমরা শেষ পর্যন্ত সেরা হতে পারিনি। আমার মনে হয়, কখনও কখনও আগের পরাজয়গুলোর ভূত আমাদের তাড়া করে। তারপরও আমি আত্মবিশ্বাসী যে, এই ছেলেরাই জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ভাগ্য বদলে দেবে।”
দল যেহেতু হেরেছে, তাই ব্যক্তিগত রেকর্ড নিয়েও মাথা ঘামাচ্ছেন না রাজা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি মুখ অন্ধকার করে বলেন, “দেখুন স্যার, ম্যাচ যদি জিততে পারতাম, তাহলে আরও অনেক বেশি উপভোগ করতে পারতাম। আমার ব্যক্তিগত আনন্দ তখনই আসে, যখন দল জেতে। আমার ব্যক্তিগত উপভোগের ব্যাপার আসবে যদি আমরা জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটকে ঘুরে দাঁড় করাতে পারি। এই প্রতিজ্ঞা আমরা দেশের প্রতি করেছি, এই প্রতিজ্ঞা আমরা দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের প্রতি করেছি। ঘুরে দাঁড়ানোর আগ পর্যন্ত উপভোগের ব্যাপার বলে কিছু নেই।”
মন্তব্য করুন: