পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইংলিশ স্পিনারকে ভিসা দেয়নি ভারত, ক্ষুব্ধ ব্রিটিশ সরকার

২৪ জানুয়ারি ২০২৪

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইংলিশ স্পিনারকে ভিসা দেয়নি ভারত, ক্ষুব্ধ ব্রিটিশ সরকার

ইংল্যান্ড দলের ভারত সফরের শুরুতেই তৈরি হলো জটিলতার। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইংল্যান্ডের তরুণ স্পিনার শোয়েব বশিরকে ভিসা দেয়নি ভারত। ঘটনা গড়িয়েছে ব্রিটিশ সরকার পর্যন্ত। এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভিসা প্রসেসিংয়ের ক্ষেত্রে ভারত যেন সকল ব্রিটিশ নাগরিককে সমান মর্যাদা দেয়। এমন ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসও।

২৫ জানুয়ারি থেকে হায়দরাবাদে শুরু হচ্ছে সিরিজের প্রথম টেস্ট। যাতে ২০ বছর বয়সী অফ স্পিনার বশিরের খেলার সুযোগ নেই। এই সফর উপলক্ষে দুবাইয়ে অনুশীলন ক্যাম্প করেছে ইংল্যান্ড দল। বশিরও সেই ক্যাম্পে ছিলেন। কিন্তু ভিসা না পাওয়ায় তাকে দেশে ফিরে যেতে হচ্ছে। গত ১১ ডিসেম্বর দল ঘোষণার পরপরই একসঙ্গে ইংল্যান্ডের সব ক্রিকেটারের ভিসার আবেদন করা হয়। বাকিদের ভিসা ঠিক সময়ে হলেও আটকে যায় বশিরের ভিসা! আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো ধারণা করছে, বশির পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হওয়াতেই নাকি তার ভিসা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতার।

গত বছর ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপেও পাকিস্তানি সমর্থক-সাংবাদিকরা ভিসা পাননি। খুবই কমসংখ্যক কিছু পাকিস্তানি অন্য দেশের ভিসায় ভারতে গিয়েছিলেন! শুধু তাই নয়, পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পর্যন্ত ভিসা দিতে অনেক দেরি করেছিল ভারত। এছাড়া গত বছর অস্ট্রেলিয়ার ভারত সফরে ঠিক একই কারণে ভিসা পেতে দেরি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার উসমান খাজার। কারণ, তার জন্ম ইসলামাবাদে। এবার বশিরের ভিসা না পাওয়ার ঘটনা গড়িয়েছে ব্রিটিশ সরকার পর্যন্ত।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আমি শুধু এই বিষয়টি (বশিরের ভিসা না পাওয়া) নিয়ে বলছি না, কারণ এমন আরও ঘটনার কথা আমি জেনেছি। আমরা পরিস্কারভাবে বলতে চাই যে, সকল সময় ভিসা প্রসেসিংয়ের ক্ষেত্রে ভারত যেন ব্রিটিশ নাগরিকদের সমানভাবে মর্যাদা দেয়।

ইংল্যান্ডে টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস বলেছেন, অধিনায়ক হিসেবে আমার জন্য এটি খুবই হতাশার। আমরা স্কোয়াড ঘোষণা করেছি মধ্য ডিসেম্বরের আগে। কিন্তু ব্যাশ (বাশির) এখানে আসার ভিসা এখনও পায়নি। ওর কারণেই আমার বেশি হতাশ লাগছে। ইংল্যান্ড টেস্ট দলে আসার পর তার প্রথম অভিজ্ঞতাই এমন কিছু হোক, তা চাইনি। ওর জন্য সত্যিই খারাপ লাগছে।

তবে এই অবস্থায় পড়ে যাওয়া প্রথম ক্রিকেটার সে নয়। আরও অনেকের সঙ্গেই খেলেছি, যাদের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি হতাশ যে, একজন ক্রিকেটারকে আমরা দলে নিয়েছি, কিন্তু সে আমাদের সঙ্গে নেই ভিসার সমস্যায়। বিশেষ করে এরকম তরুণ একজনের জন্য ওর জন্য ভয়ঙ্কর খারাপ লাগছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়া দুঃখজনক। তবে অনেকেই চেষ্টা করছে ওর হয়ে। এটা দুর্ভাগ্যজনক এবং ওর জন্য আমি হতাশ।

মন্তব্য করুন: