নেপালকে গুঁড়িয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখল টাইগার যুবারা

৩১ জানুয়ারি ২০২৪

নেপালকে গুঁড়িয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখল টাইগার যুবারা

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালকে যে বাংলাদেশের যুবারা হারাবে তা অনুমেয়ই ছিল। কিন্তু এই ম্যাচে যে শুধু জিতলেই হবে না, সেমি-ফাইনালে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে টাইগার যুবাদের জিততে হতো বেশ বড় ব্যবধানে। বোলারদের নৈপুণ্যের পর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেট ও ২৪ ওভার ৪ বল হাতে রেখেই ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে, সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নেট রান-রেটে বেশ এগিয়ে গেছে ২০২০ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

এবারের যুব বিশ্বকাপের জটিল ফরম্যাটের মারপ্যাঁচে সুপার সিক্সের লড়াই শুরু হওয়ার আগেই বাংলাদেশের জন্য শেষ চারের পথ বেশ কঠিন ছিল। টস জিতে নেপালি যুবারা ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলে শুরুতেই তাদের চেপে ধরে টাইগার বোলাররা। কিন্তু প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে টেনে তোলতে চতুর্থ উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক দেব খানাল ও বিশাল বিক্রম। জিশান আলম এই জুটি ভাঙলে ম্যাচে আর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি নেপাল। রোহানাত দৌলা বর্ষণের পেস তোপ ও শেখ পারভেজ জীবনের ঘূর্ণিতে তারা ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায়। ম্যাচেসেরা বর্ষণের শিকার ৪টি এবং জীবন নেন ৩টি উইকেট।

রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই রান-রেটের বিষয়টি মাথায় নিয়ে খেলতে থাকেন বাংলাদেশ ব্যাটাররা। আক্রমাত্মক ব্যাটিংয়ে প্রথম ১০ ওভারেই ৬১ রান তোলেন দুই ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলী ও জিশান। শিবলী ধীরগতিতে খেলে ১৬ রানে ফিরলেও বোলারদের ওপর টর্নেডো বইয়ে দেন জিশান। ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ বলে তুলে নেন ফিফটি।

দ্রুত রান তোলার তাড়ায় বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারালেও এক প্রান্ত আগলে রেখে বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আরিফুল ইসলাম। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ফিফটি করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে তিনি দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। জিশান করেন ৪৩ বলে ৫৫ রান। নেপালের হয়ে একাই ৫ উইকেট নেন সুবাস ভান্ডারী।

শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে আগামী শনিবার বেনোনিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে জুনিয়র টাইগাররা।

মন্তব্য করুন: