‘বাজবল’ শুনলে বিরক্ত হন বাজবলের জনক ম্যাককালাম

১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

‘বাজবল’ শুনলে বিরক্ত হন বাজবলের জনক ম্যাককালাম

গত দুই বছর ধরেই ক্রিকেটবিশ্বে আলোচনার তুঙ্গে ইংল্যান্ডের বাজবল। আক্রমণাত্বক ঘরানার এই টেস্ট ক্রিকেটের প্রচলন ঘটিয়েছেন ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। তার ডাকনাম বাজ এর সঙ্গে বল যুক্ত করে তৈরি হয়েছে বাজবল শব্দটি। যা সাধারণত ব্রিটিশ মিডিয়া তৈরি করেছে। কিন্তু এই শব্দটি শুনলেই নাকি মহাবিরক্ত হন নিউ জিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ম্যাককালাম।

নতুন এই তথ্যটি প্রকাশ করেছেন ম্যাককালামের বাজবল সহযোগী ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস। জিয়ো সিনেমাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টোকস বলেছেন, ‘‘এই বিশেষ শব্দটা তৈরি করেছে সংবাদমাধ্যম। কিন্তু আমরা এসব থেকে নিজেদের সবসময় দূরে রাখার চেষ্টা করি। গত দুই বছর যেভাবে আমরা লাল বলের ক্রিকেট খেলেছি, সম্ভবত সেটা দেখেই মিডিয়া এই বিশেষ নামকরণ করেছে। কিন্তু আমরা কেউই সেটা খুব একটা পছন্দ করি না।

ইংল্যান্ডের দুটি বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অল-রাউন্ডার আরও বলেছেন, বাজ (ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ডাক নাম) নিজেই এই শব্দটা শুনলে খুব বিরক্তি প্রকাশ করে। বলতে পারেন, ও শব্দটাকে ঘৃণা করে। তাই যখনই এই শব্দটা উচ্চারিত হয়, আমরা এটা বোঝানোর চেষ্টা করি কীভাবে ইংল্যান্ড ম্যাচটা খেলতে চেয়েছিল।’’

কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ইংল্যান্ডের লাল বলের ক্রিকেট দর্শন আমূল বদলে দিয়েছিলেন ম্যাককালাম। তার এই নতুন দর্শন নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়া দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ এটাকে স্বাগত জানিয়েছেন, আবার কেউ করছেন সমালোচনা। তবু বাজবল ঘরানা থেকে সরে আসেনি ইংল্যান্ড। বরং ম্যাককালাম-স্টোকসের যুগলবন্দিতে এই ঘরানার টেস্ট ক্রিকেটকে এগিয়ে নিচ্ছে তারা। স্টোকস বলেছেন, এ কারণে তার ওপর বাড়তি কোনো চাপ নেই। ম্যাককালামের সঙ্গে তার বোঝাপড়াও দারুণ।

স্টোকস বলেন, নেতৃত্ব মোটেই আমার কাছে চাপ নয়। চেন্নাই সুপার কিংসে খেলার সময় দেখেছি, যে কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং স্টিভন ফ্লেমিংয়ের মাঝে দারুণ বোঝাপড়া ছিল। তাদের মাঝে যে আবেগ দেখেছি তা অতুলনীয়। মাঠের ধারে বসে সেই আবেগটা বোঝা যায় না। আমার এবং বাজের (ব্রেন্ডন ম্যাককালাম) বোঝাপড়াও ভালো। আসলে ধোনি এবং ফ্লেমিংয়ের থেকেই আমি সেটা শেখার চেষ্টা করেছি।

মন্তব্য করুন: