সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ, টাইগার যুবাদের বিশ্বকাপ শেষ

৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ, টাইগার যুবাদের বিশ্বকাপ শেষ

ম্যাচের ভাগ্য পেন্ডুলামের মতো দুলছিল। শেষ উইকেটটি পতন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের জয়ের আশা বেঁচে ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুব কাছে গিয়েও জয় ধরা দিল না। অযথা তাড়াহুড়ায় উইকেট বিলিয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্ন ধুলিস্ন্যাৎ করে দিলেন মাহফুজুর রহমান রাব্বিরা। পাকিস্তানের কাছে ৫ রানের পরাজয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘটল টাইগার যুবাদের।

নেপালের বিপক্ষে বিধ্বংসী জয়ের পর যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণ বাংলাদেশের জন্য  কিছুটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। প্রাথমিক কাজটা করে দেন বোলাররা। সেমিফাইনালে যেতে জিততে হতো ৩৮ ওভার ১ বলে। এই হিসেবে ওভারপ্রতি ৪.০৯ রান করে তুললেই যথেষ্ট। কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটাররা সে পথে হাঁটলেন না। 

ছোট্ট টার্গেট তাড়ায় নেমে বাংলাদেশ উড়ন্ত সূচনা করেছিল। এই ঝড়ো ব্যাটিংই কি কাল হয়ে দাঁড়াল? হাত খুলে মারতে থাকা জিসান আলম ১২ বলে ১৯ রানে ফিরলে ভাঙে ২৬ রানের ওপেনিং জুটি। বাংলাদেশের টপ অর্ডারের প্রথম তিনজনই উইকেটকিপার সাদ বেগের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। অথচ বাংলাদেশের কিপার আশিকুর রহমান শিবলী দুটি ক্যাচ ছেড়েছেন। ব্যাট হাতেও দিতে পারেননি ভরসা। ফিরেছেন ১১ বলে ৪ রানে।

তিনে নামা রিজওয়ান করেন ২০ রান। আরিফুল (১৪), আহরার (১১) পারভেজ জীবন (৮) সবাই উইকেট বিলিয়েছেন। একপর্যায়ে ১৯.২ ওভারে ৮৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এই পর্যায়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক রাব্বি (১৩) আর মোহাম্মদ শিহাব জেমস (২৬)। ৭ম উইকেটে এই দুজনের ৪০ রানের জুটিতে জয়ের কাছে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। জুটি ভাঙতেই আবারও বিপদ। কিন্তু তখনও নাটকের অনেক বাকি ছিল।

শেষ উইকেটে ২৫ বলে ২৩ রানের জুটি গড়েন বর্ষণ (২১*) আর মারুফ মৃধা (৪)। তাদের ব্যাটে আবারও জয়ের আশা জাগে। কিন্তু জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরে দাঁড়িয়ে আউট হয়ে যান মারুফ। ৩৫.৫ ওভারে ১৫০ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। ৫ রানের জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে পাকিস্তান। বল হাতে ৪৪ রানে ৫ উইকেট নেন পাকিস্তানের উবাইদ শাহ। এছাড়া আলী রাজা নেন ৩টি।

এর আগে বেনোনির উইলোমোর পার্কে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪০.৪ ওভারে ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। বল হাতে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন রহনাত দৌলা বর্ষণ আর শেখ পারভেজ জীবন। পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ভাঙে ৩৭ রানে। শামেল হোসেনকে (১৯) বোল্ড করে দেন বর্ষণ। এরপর তারা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। ৭ম উইকেটে ৫৭ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন আলি আসফান্দ এবং আরাফাত মিনহাজ।

সর্বোচ্চ ৩৪ রান আসে আরাফাতের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন ওপেনার শাহজাইব খান। এছাড়া পাকিস্তানের আর কেউ বিশের ঘরে যেতে পারেনি। ডানহাতি পেসার বর্ষণ ৮ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৪ রানে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ডানহাতি স্পিনে জীবন সমান ৪ উইকেট নেন। ১০ ওভারে ৩ মেডেনসহ তিনিও রান দিয়েছেন মাত্র ২৪। বাংলাদেশ এদিন অতিরিক্ত ১৯ রান দিয়েছে।

মন্তব্য করুন: