আমরা পাওয়ার হিটার না, গায়েও শক্তি নেই : লিটন দাস

৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আমরা পাওয়ার হিটার না, গায়েও শক্তি নেই : লিটন দাস

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএর) চলতি দশম আসরের ইতোমধ্যেই ২৩টি ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত একবারও দুইশ রানের স্কোর দেখা যায়নি। অথচ আসর শুরুর আগে বিসিবির কর্তারা বলেছিলেন, আসন্ন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে বিপিএলে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট তৈরি করা হবে। কিন্তু বাস্তবে তা দেখা যায়নি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক লিটন কুমার দাস অবশ্য উইকেটের চেয়ে ব্যাটারদের দায় বেশি দেখছেন।

বুধবার খুলনা টাইগার্সকে ৩৪ রানে হারিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন লিটন দাস। এদিন গ্যালারিতে খুবই কম দর্শক ছিল। কুমিল্লার ১৪৯ রানই তাড়া করে জিততে পারেনি খুলনা। তাই প্রশ্ন ওঠে, রান হচ্ছে না বলেই কি গ্যালারিতে দর্শক নেই? জবাবে লিটন বলেন, ১৮০ রানই তো হচ্ছে না ঢাকায়, দুইশ কীভাবে আশা করেন আপনি? আমার একটা প্রশ্ন, টি-টুয়েন্টি ম্যাচে কি দুইশ হতেই হবে? এটা এমন কোনো গেম?

লিটন মনে করেন রানের চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটাই আসল, গ্যালারিতে মানুষ আশা করে খেলা উপভোগ করতে। সেটা ছয়-চারেও হতে পারে, সেটা উইকেট নিয়েও হতে পারে। দুইশ রান করল এক টিম, আরেক টিম করল ১১০। মজা হলো না খেলায়, একতরফা। যদি এক দল দেড়শ রানও করে এবং সেটা তাড়া করে জেতা যায়, তাহলে খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে। কুমিল্লা প্রতিটি ম্যাচেই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট খেলেছে। দর্শক উপভোগ করছে।

রান না হওয়ার ক্ষেত্রে উইকেটের খুব একটা দায় দেখছেন না ৩০ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলা লিটন, আমি কিছু বললেই কি উইকেট পরিবর্তন হবে? আমি যদি বলি কাল দুইশ রানের উইকেট দেন.. দিতে পারবে? যেটা ফ্যাক্ট, সেটা নিয়েই তো আমাদের খেলতে হবে। দেড়শ রানের উইকেটে দেড়শ রান কীভাবে করা যায় সেটা ভাবতে হবে। সবসময় টি-টুয়েন্টিতে আপনি দুইশ রানের উইকেট পাবেন না। আমার কাছে টসের সময় মনে হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ রানই এখানে ভালো স্কোর। আমাদের শুরুটা যেভাবে হয়েছে, সেখান থেকেও ১৭০ করা যেত। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলিনি। অনেক ডট গেছে। কারণ আমরা বড় বড় শট খেলতে চাচ্ছি। এক-দুইয়ের অপশন কিন্তু আছে। অনেক বড় বড় ক্রিকেটার দেখবেন এক-দুই রান নিয়ে খেলছে। এই জায়গাতেই আমাদের ঘাটতি আছে। কিন্তু এখনো আমরা চেষ্টা করছি।

ব্যাটারদের সিঙ্গেলস-ডাবলসে অনীহা আর মাঝের ওভারগুলোতে রান নিতে না পারটা বাংলাদেশ জাতীয় দলেরও সমস্যা কিনা- এমন প্রশ্নে অনেকটাই একমত হলেন লিটন। নিজেদের সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়ে তিনি বললেন, হতে পারে (জাতীয় দলের সমস্যা)। আমরা কিন্তু কেউই পাওয়ার হিটার না। খুব একটা যে গায়ের শক্তি আছে যে ছয় মারব- তা কিন্তু না। কিন্তু আপনি দেখবেন যে, এ ধরণের ক্রিকেটাররাও (বড় শট খেলতে না পারা) কিন্তু টি-টুয়েন্টিতে রান করছে। কীভাবে করছে? সিঙ্গেলস-ডাবলস নিয়ে। আমরা চেষ্টা করছি এই জিনিসগুলো করার, আশা করি সামনে এই পরিবর্তনগুলো আসবে আস্তে আস্তে।

মন্তব্য করুন: