‘ছেলে বউয়ের কথায় ওঠে-বসে’- জাদেজার বাবার সাক্ষাৎকারে তোলপাড়

৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

‘ছেলে বউয়ের কথায় ওঠে-বসে’- জাদেজার বাবার সাক্ষাৎকারে তোলপাড়

ভারতের তারকা অল-রাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজার বাবা অনিরুদ্ধসিন জাদেজার এক সাক্ষাৎকারে তোলপাড় পড়ে গেছে। সেই সাক্ষাৎকারে ছেলের বিরুদ্ধে সব ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন জাদেজার বাবা। ছেলে এবং ছেলের বউয়ের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছেন। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে এই সাক্ষাৎকারকে সাজানো বলে দাবি করেছেন রবীন্দ্র জাদেজা।

দিব্যা ভাস্কর নামের একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জাদেজার বাবা বলেন, সত্যি কথা শুনতে চান? আমার সঙ্গে রবীন্দ্র এবং রিভাবার (জাদেজার স্ত্রী) কোনো সম্পর্ক নেই। আমি ওদের ফোন করি না, ওরাও করে না। বিয়ের দুই-তিন মাস পর থেকেই সমস্যা শুরু হয়। জামনগরে আমি একাই থাকি। রবীন্দ্র এবং রিভাবা আলাদা বাড়িতে থাকে। একই শহরেও থেকেও দেখা হয় না। আমি জানি না রবীন্দ্রর ওপর তার স্ত্রী কী জাদু করেছে! সে স্ত্রীর কথায় ওঠে-বসে।

এই সাক্ষাৎকার ভাইরাল হতেই মুখ খুলেছেন রবীন্দ্র জাদেজা। সোশ্যাল মিডিয়ার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, এটা একটা সাজানো সাক্ষাৎকার। এটাকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো কারণ নেই। ওই সাক্ষাৎকারে যা বলা হয়েছে, সেগুলোর কোনো মানেই হয় না। সব মিথ্যা। এক পক্ষের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। আমি সবকিছু অস্বীকার করছি। আমার স্ত্রীয়ের চরিত্র কলুষিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমারও অনেক কথা বলার আছে। কিন্তু সেগুলো প্রকাশ্যে বলা ঠিক নয় বলেই আমি মনে করি।

জাদেজার জীবনসঙ্গী রিভাবা জামনগরের বিজেপি বিধায়ক। ২০১৭ সালে জাদেজাকে তিনি বিয়ে করেন। এই মুহূর্তে চোটে আক্রান্ত জাদেজা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্ট দিয়ে তার মাঠে ফেরার কথা। জাদেজাকে ক্রিকেটার বানানোই ভুল ছিল বলে জানান তার বাবা, ও যে আমার ছেলে, এটাই এখন আমার সবচেয়ে বড় যন্ত্রণার জায়গা। ওকে বিয়ে না দিলেই ভালো হতো। রবীন্দ্র ক্রিকেটার না হলে আরও ভালো হতো। তাহলে আমাদের জীবন অনেক সহজ হতো।

ছেলের সঙ্গে কী নিয়ে বিরোধের শুরু, সে বিষয়েও আভাস দিয়েছেন অনিরুদ্ধসিন জাদেজা, বিয়ের তিন মাসের মধ্যে রবীন্দ্রর স্ত্রী সব সম্পত্তি তার নামে লিখে দিতে বলে। আমাদের পরিবারের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে দেয় রিভাবা। সে পরিবারের সঙ্গে থাকতে চায়নি। স্বাধীন জীবন চেয়েছিল। আমি ভুল হতে পারি, নয়নাবা (জাদেজার বোন) ভুল হতে পারে, কিন্তু পরিবারের আরও ৫০ জন লোক ভুল হতে পারে না। ওদের সঙ্গে পরিবারের কারও কোনো সম্পর্ক নেই। গত পাঁচ বছরে নাতনির মুখ দেখিনি। সব কিছুই দেখে রবীন্দ্রর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারা সবকিছুতেই নাক গলায়। আসলে তাদের নজর রবীন্দ্রর টাকার দিকে।

মন্তব্য করুন: