পদ হারিয়ে নান্নুর ‘কিছুই বলার নেই’
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সোমবার সকালেও তিনি অনানুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক ছিলেন। সন্ধ্যায় হয়ে গেলেন সাবেক। গত ৩১ ডিসেম্বর মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছিল। সোমবার বিসিবিতে বোর্ড মিটিং শেষে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। নির্বাচক হিসেবে এসেছেন হান্নান সরকার। এর মাধ্যমেই শেষ হয়েছে নান্নু-বাশার যুগের।
২০১২ সালে জাতীয় দলের নির্বাচক হয়েছিলেন নান্নু। এরপর ২০১৬ সাল থেকে টানা ৭ বছরের বেশি সময় ছিলেন প্রধান নির্বাচক। মাঝে মেয়াদ শেষ হলেও কাজ চালিয়ে গেছেন। পরে তার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। নান্নু এবারও সেরকমই কিছু আশা করেছিলেন। গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি তেমন ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত নান্নুর আশা পূরণ হয়নি। যে কারণে তিনি বেশ হতাশ।
গণমাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেছেন, “কিছুই বলার নেই। এটা বিসিবির এখতিয়ার। বোর্ড যা ভালো মনে করেছে, সেটাই করেছে। আমি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। প্রধান নির্বাচক পদে ৭ বছর আর নির্বাচক পদে আরও ৫ বছর- মোট ১২ বছরের বেশি সময় আমি নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছি, সেটাও কম নয়।”
মিনহাজুল জানিয়েছেন, তাকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে রাখা হবে কিনা- এ নিয়ে বোর্ডের নীতিনির্ধারকদের কেউ তার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেনি। তবে নান্নুকে বিসিবির অন্য কোনো দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে সোমবার জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, “বোর্ড আমাদের ক্রিকেটে তাদের অবদান স্বীকার করেছে। আমরা সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছি, তাদের কাজে আমরা খুবই খুশি। আমরা তাদের হারাতেও চাই না। সেজন্য বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তাদের বোর্ডের অন্য পদে আমাদের সাথে রাখব।”
মন্তব্য করুন: