পাপনের হাতে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার তদন্ত প্রতিবেদন
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ ছিল ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ সালের আসরটি। টুর্নামেন্টের মূল দল থেকে তামিম ইকবালের বাদ পড়া এবং ভারতে যাওয়ার আগে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বিতর্কিত এক সাক্ষাৎকারের পর থেকে দেশের ক্রিকেট ছিল এক টালমাটাল অবস্থায়। যার প্রভাব পড়েছিল আসরে দলের সার্বিক পারফরম্যান্সে।
বিশ্বকাপে দলের এরকম ভরাডুবির কারণ অনুসন্ধানে দল দেশে আসার পর তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দলের খেলোয়াড় থেকে শুরু করে নির্বাচক এমনকি বিশ্বকাপ খেলতে না যাওয়া তামিমের সঙ্গেও দেখা করে তদন্ত কমিটি। কিন্তু আসর শেষ হওয়ার প্রায় তিন মাস পার হলেও সেই তদন্ত রিপোর্ট সম্পর্কে এতদিন বোর্ড থেকে কিছুই জানানো হয়নি।
সোমবার বিসিবির বার্ষিক সভা শেষে সেই তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে মুখ খুলেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে রিপোর্ট নিয়ে ইতিবাচক কোনো সংবাদ দিতে পারেননি তিনি। বোর্ড সভাপতি জানান, আজকের সভাতেই তার হাতে রিপোর্টটি তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই এই বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিটির দেওয়া প্রস্তাবনাগুলো পর্যালোচনা করে বোর্ড তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
“না, আলোচনা হয়নি। যেটা হয়েছে রিপোর্টটা জমা দিয়েছে। বিশ্বকাপের ওই পারফরম্যান্সের ওপর আজকে একটা রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্টটা বোর্ডের কাছেই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজকে যেহেতু এত লম্বা হচ্ছে পুরা রিপোর্টটা আজকে আমাকে দেওয়া হয়েছে আগে দেখার জন্য।”
“আমি দেখার পরে… ওখানে কিছু প্রস্তাবনাও তারা দিয়েছে। এখন এটা দেখে খুব শীঘ্রই বোর্ডের সঙ্গে বসে আমরা ঠিক করব। আলোচনা করে কোন কোন প্রস্তাবনা বা কী করণীয় আমাদের করতে হবে সেটা ঠিক করব।”
বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতার কারণ জানা গেলেও এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া বোর্ডের জন্য অনেক কঠিন হবে বলেও জানান পাপন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বোর্ডের খুব বেশি সময় লাগবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। এছাড়াও বোর্ডের কাছে বিশ্বকাপের ব্যর্থতা এখনও বড় একটি আলোচনার বিষয় বলে জানান সভাপতি।
“না না, ব্যাপারটা আপনি যা ভাবছেন তা না। যেহেতু আজকে এটা নিয়ে আমরা আলোচনা… মানে রিপোর্টটা দেওয়ার পর সবাই বলেছে যে এটা তো পড়তে হবে। এবং কিছু প্রস্তাবনাও আছে সেটা দেখতে হবে। যেহেতু এটার দায়িত্ব আমার কাছে দেওয়া হয়েছে, আজকেই আমার কাছে দেওয়া হয়েছে (রিপোর্ট), এইখানে বসে এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া অনেক কঠিন। তাই এটা পড়তে হবে, বুঝতে হবে, সবার সঙ্গে আলাপ করতে হবে। আলাপ করে আমাদের সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। এইটা বেশিদিন লাগবে না। সবকিছুই কয়েকদিনের মধ্যে হয়ে যাওয়া উচিত।”
মন্তব্য করুন: