লিপু ভাই কেন? প্রধান নির্বাচক হওয়ার কথা সুমনের: সুজন
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক পদে নিযুক্ত হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ লিপু। নির্বাচক হয়েছেন হান্নান সরকার। অথচ, জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক, বিসিবি পরিচালক তথা ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন এসবের কিছুই জানেন না! মঙ্গলবার চট্টগ্রামে বিপিএলের ম্যাচ শুরুর আগে সাংবাদিকদের কাছে এমন দাবিই করেছেন সুজন। তার ধারণা ছিল, মিনহাজুল আবেদিন নান্নুকে সরিয়ে হাবিবুল বাশার সুমনকে প্রধান নির্বাচক করা হবে।
চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত ঢাকার অনুশীলনের ফাঁকে দলটির কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন সাংবাদিকদের বলেন, “আমি ওনার নামই শুনিনি আগে যে নির্বাচক হতে পারেন। খুবই সারপ্রাইজিং একটা ঘোষণা এসেছে বিসিবি থেকে। আমি সেখানে ছিলাম না, তাই আসলে বলতে পারব না। আমি তো সেটা ক্লিয়ার করলাম, আমি জানি না কিছু। অবশ্যই (শকিং)... আমি ক্রিকেট অপারেশনসের ভাইস চেয়ারম্যান, আমি জানিই না যে নির্বাচক কে হচ্ছে। খুবই বিস্ময়কর যে আমি জানব না। আমার আসলে এই প্রতিষ্ঠানে থেকে প্রয়োজনটা কী সেটাও জানি না।”
সুজনের ধারণা ছিল হাবিবুল বাশারকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিযুক্ত করা হবে, “আমি আশা করেছিলাম সুমনই (হাবিবুল বাশার) হবে। কেন হয়েছে, যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বা সিদ্ধান্তের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন তাঁরাই বলতে পারবেন। আমি অবশ্যই মনে করি সুমন যোগ্য ছিল। সে বাংলাদেশের সফল ক্যাপ্টেন ছিল, সফল ক্রিকেটার ছিল। এত বছর দলের সঙ্গে কাজ করেছে। আমি আশা করেছিলাম নান্নু ভাইকে না রাখা হলে ও-ই প্রধান নির্বাচক হবে। যে সিদ্ধান্ত বোর্ড দিয়েছে, আমাদের সম্মান জানাতে হবে। তবে হ্যাঁ একটু সারপ্রাইজিং। আমার জন্য একটু সারপ্রাইজিং ছিল। আমি এই নামটাই শুনিনি।”
গাজী আশরাফ বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে কতটা ভালো জানেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুজন, “ক্রিকেট যিনি খেলেছেন, তার ক্রিকেট জ্ঞান সম্পর্কে প্রশ্ন করাটা স্বাভাবিক না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব করেছেন। এত বছর ধরে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। মাঝে ওনার হয়তো একটা বিরতি আছে। টিভিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দেখে তো আমরা অনেকে কথা বলতেই পারি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে কী হচ্ছে, প্রিমিয়ার লিগ বা বয়সভিত্তিক ক্রিকেটগুলা বা অন্যান্য জায়গায় কী হচ্ছে... তবে আমার মনে হয় না, ওনার জন্য খুব একটা কঠিন হবে। হয়তো একটু সময় লাগবে। মানিয়ে নিতে সময় লাগবে না। তবে ওনার ক্রিকেট মেধা, বিচক্ষণতা, বোধ নিয়ে কোনো প্রশ্নই থাকতে পারে না।”
তবে গাজী আশরাফের ক্রিকেট মেধার ওপর আস্থা আছে খালেদ মাহমুদ সুজনের, “লিপু ভাইয়ের ক্রিকেট মেধা... অনেক সিনিয়র, অনেক দিন ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেট ফলো করছেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ছিলেন। ওনার বিচক্ষণতা নিয়ে কোনো প্রশ্নই থাকতে পারে না। অবশ্যই আমি মনে করি, উনি আসাতে অনেক ভালো হতেই পারে। লিপু ভাই যথেষ্ট বুদ্ধিমান একজন মানুষ। আমরা যখন ওনার সঙ্গে খেলেছি, উনি তরুণদের সেভাবেই সমর্থন দিয়েছেন। আমি মনে করি, সেভাবেই উনি গুছিয়ে নেবেন। রাজ্জাক-হান্নানের জন্যও ভালো। ওনার মতো একজন সিনিয়র মানুষের থেকে শিখতে পারবেন।”
মন্তব্য করুন: