ছক্কার সংখ্যা দিয়ে নির্বাচকদের বিচার করা যাবে না : হান্নান সরকার
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জাতীয় দলের নতুন নির্বাচক হান্নান সরকার। ছবি : অল আউট স্পোর্টস
জাতীয় ক্রিকেট দলের সদ্য সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু তার ক্যারিয়ারে একটাও ছক্কা মারেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে এতদিন বেশ ঠাট্টা-মশকরা হয়েছে। নতুন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুরও একই হাল। ছক্কার সংখ্যা দিয়ে কি জাতীয় দলের নির্বাচকদের মানদণ্ড তৈরি করা উচিত? এমন প্রশ্নই উঠল নতুন নির্বাচকদের সংবাদ সম্মেলনে।
গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর অভিষেক হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। তখন বাংলাদেশে ছক্কা তো দূরের কথা, ক্রিকেট খেলাটাই হতো নামেমাত্র। পাঁচ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সাবেক অধিনায়ক লিপু মাত্র ৭টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে রান করেছিলেন ৫৯। লিস্ট- এ ক্রিকেটেও সমান ৫৯ রান করেছেন। ১৯৯০ সালে শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়।
তবে হান্নান সরকার এদিক দিয়ে বেশ ভাগ্যবান। পুরো ক্যারিয়ারে মোট ৪টি ছক্কা মেরেছেন। ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক হলেও ক্যারিয়ার আড়াই বছরের বেশি স্থায়ী হয়নি। ২০০৪ সাল পর্যন্ত ১৭ টেস্টের ৩৪ ইনিংসে পাঁচ ফিফটিতে ৬৬২ রান করেছেন। আর ২০ ওয়ানডেতে ৩ ফিফটিতে করেছেন ৩৮৩ রান। এছাড়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৭০ ইনিংসে ৪২৬৭ রান করেছেন হান্নান। সেঞ্চুরি আছে মাত্র ২টি।
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলায় হান্নান সরকারের কাছে প্রশ্ন গেল- নির্বাচকদের ছক্কার সংখ্যা নিয়ে সমালোচনার বিষয়টি তিনি কীভাবে দেখেন? জবাবে হাসতে হাসতে হান্নান বলেন, “আমাদের সময় তো ছক্কা মারার ট্রেন্ড কম ছিল (হাসি)। আমরা টি-টুয়েন্টি খেলিনি। এখন ক্রিকেট বদলে গেছে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদেরকেও পরিবর্তিত হতে হয়েছে। এখন আমার ছক্কার হিসাব করে তো বিচার করা যাবে না। এখনকার ক্রিকেটে যখন যেটা ডিমান্ড করে… টি-টুয়েন্টি, ওয়ানডে, টেস্ট- একেক ফরম্যাটে একেকভাবে সিচুয়েশন ডিমান্ড করবে। কন্ডিশন ডিমান্ড করবে। সে অনুযায়ী আমরা নির্বাচন করার চেষ্টা করব।”
হান্নান অবশ্য জানিয়ে রাখলেন, দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে যদি ছক্কা মারার ক্ষমতা বিবেচনা করার প্রয়োজন হয়; তারা সেটাও করবেন, “আসলে ছক্কা দিয়ে যাচাই করার যদি দরকার হয়, সেটাও আমরা করব। কোন কন্ডিশনে খেলা হচ্ছে, সেখানে যদি ছক্কা ডিমান্ড করে সেটাও মাথায় রাখব। ওই বিচারে আর যেতে চাচ্ছি না। কারণ আমাদের সময়ের ক্রিকেট থেকে বর্তমান সময়ের ক্রিকেট পুরো বদলে গেছে। আমি জাতীয় দলে সর্বশেষ খেলেছি ২০০৪ সালে। খেলা ছেড়েছি ২০১১ সালে। টি-টুয়েন্টি যাত্রা শুরু করেছে মাত্র ২০১১তে। সমালোচনা যা হচ্ছে সেটা সময়ের দাবি।”
মন্তব্য করুন: