কাঁদলেন বাবা, কাঁদলেন স্ত্রী, চোখের জলে সরফরাজের টেস্ট অভিষেক

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

কাঁদলেন বাবা, কাঁদলেন স্ত্রী, চোখের জলে সরফরাজের টেস্ট অভিষেক

প্রতীক্ষার পালা অবশেষে ফুরলো। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের পর রান করেও ভারতের জাতীয় দলে সুযোগ হচ্ছিল না সরফরাজ খানের। চারদিক থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। অবশেষে ডাক পেলেন ভারতীয় দলে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তার মাথায় উঠল টেস্ট ক্যাপ। ভারতের কিংবদন্তি অনিল কুম্বলে সরফরাজের মাথায় টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দিতেই আবেগের বাঁধ ভাঙল সবার। 

বৃহস্পতিবার রাজকোটে সরফরাজকে টেস্ট ক্যাপ নিতে দেখে প্রথমে হাসি খেলে গেল তার বাবা নওশাদ খানের চোখেমুখে। তারপরই চোখে জমা হলো অশ্রু। জামা দিয়ে চোখের জল মুছতে থাকেন। পাশে দাঁড়িয়ে সরফরাজের স্ত্রীও তখন কাঁদছিলেন। টেস্ট ক্যাপ নিয়ে প্রথমেই বাবার কাছে যান সরফরাজ। তাকে টেস্ট ক্যাপ দেখিয়ে জড়িয়ে ধরেন। এত বছরের অপেক্ষার অবসানের পর তারা নিজেদের ধরে রাখতে পারছিলেন না। চোখের জল বাধ মানছিল না নওশাদের। ছেলের টেস্ট ক্যাপে তিনি চুমু খান। বাবার পরে স্ত্রীকেও জড়িয়ে ধরেন সরফরাজ। 

দুই ছেলেকে ক্রিকেটার বানাতে নওশাদের ত্যাগ আর পরিশ্রমের কথা সবার জানা। ছোট ছেলে সদ্যই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন। অন্যদিকে সরফরাজ বার বার জাতীয় দলে সুযোগ না পেয়ে কিছুটা বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। প্রকাশ্যে মুখ খুলতেন তিনি। ভারতের বেশ কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটারও সরফরাজকে দলে নেওয়ার জন্য বার বার মুখ খুলেছেন। ইংল্যান্ড সিরিজে সুযোগ পেলেও প্রথম দুই টেস্টে একাদশে ছিলেন না।  চোটের কারণে লোকেশ রাহুল তৃতীয় টেস্ট না খেলায় সরফরাজের অভিষেক নিশ্চিত হয়ে যায়। 

এদিন সরফরাজের বাবা নওশাদের জ্যাকেটের পেছনে ইংরেজিতে যা লেখা ছিল বাংলায় তার মানে দাঁড়ায়- ক্রিকেট শুধু ভদ্রলোকের খেলা নয়, সবার খেলা। সোয়েটারে লেখা জেন্টলম্যান শব্দটি কেটে দেওয়া ছিল। ২০২০ সালের পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সরফরাজ ২০০০-এর বেশি রান করেছেন, গড় ৮২.৪৬। এ সময়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এত বেশি গড়ে এত রান বিশ্বের আর কোনো ক্রিকেটার করতে পারেননি। সরফরাজ তাই সেই ২০২০ সাল থেকেই জাতীয় দলে ডাক পাওয়া প্রহর গুনছিলেন। সেই সুযোগ হলো প্রায় চার বছর পর।

মন্তব্য করুন: