ছক্কা মারতে অনুশীলনের বিকল্প নেই: মঈন আলী

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ছক্কা মারতে অনুশীলনের বিকল্প নেই: মঈন আলী

এবারের বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেছিলেন মঈন আলী। হালকা-পাতলা গড়নের হলেও বড় বড় ছক্কা হাঁকাতে ইংলিশ এই অল-রাউন্ডারের বেশ সুখ্যাতিও আছে। স্বভাবতই প্রশ্ন আসতে পারে, বিশালদেহীর অধিকারী না হয়েও কীভাবে গায়ে এত জোর পান তিনি? মঈন জানালেন, ব্যাপক অনুশীলন করেই এই দক্ষতা অর্জন করেছেন তিনি। এছাড়াও পাওয়ার হিটিংয়ে দক্ষতা বাড়ানোর পেছনে অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই বলেও মত তার।

শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আউটারে কুমিল্লার অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মঈন। সেখানেই বড় বড় ছক্কা হাঁকানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাঁহাতি এই ব্যাটার বলেন, “শুধু অনুশীলন। খুব ছোটবেলা থেকে অনুশীলন করি, তখন থেকেই বড় ছক্কা মারার চেষ্টা করতাম। আরও অনেক কিছু চেষ্টা করতাম। শুধু টেকনিক নয়, অনুশীলনও করতে হয়।”

কারও শক্তি বেশি। কেউ খেলে টেকনিক দিয়ে। কখনোবা টাইমিংটা কাজে লাগে। আসলে নির্দিষ্ট কোনো উপায় নেই। যেটাই হোক, আপনাকে ছক্কা হাঁকানোর প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। আপনার টেকনিক ভিন্ন হতেই পারে, তবে প্র্যাকটিস করতে হবে।”

শারীরিক গড়নে মঈনের মতোই হালকা-পাতলা তার কুমিল্লা দলের সতীর্থ তাওহীদ হৃদয়। এবারের বিপিএলে ছক্কা হাঁকানোর দিক দিয়েও সবার উপরে বাংলাদেশের এই ব্যাটার। ডানহাতি এই ব্যাটারের পাওয়ার হিটিং নিয়ে তাকে প্রশংসায় ভাসিয়ে মঈন বলেন, “হৃদয় বাংলাদেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। গতবার ওর বিপক্ষে খেলেছি। সেবার বেশি রান না করলেও বুঝতে পেরেছিলাম সে ভালো ক্রিকেটার। খুব বড়সড় মানুষ নয়, কিন্তু অনেক মারতে পারে। সেটা অবশ্যই ভালো টাইমিং এবং টেকনিকের কারণে।”

২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো বিপিএলে খেলতে আসেন মঈন। তখন থেকেই দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টুয়েন্টি আসরে বেশ পরিচিত মুখ তিনি। গত তিন মৌসুম ধরে খেলছেন কুমিল্লার জার্সি গায়েই। তবে ইংল্যান্ড বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তারও আগে আসেন বাংলাদেশ সফরে। আর তাই বাংলাদেশের অপরিচিত কন্ডিশনে এভাবে নিয়মিত খেলার একটা সুবিধাও পাচ্ছেন বলে জানান এই ইংলিশ অল-রাউন্ডার।

বাংলাদেশে আসতে সব সময়ই ভালো লাগে। অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশে আসছি। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়েও বাংলাদেশ সফর করেছি। কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা না থাকলে এখানে খেলা খুবই কঠিন। তবে একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলেই হলো। এখানকার ক্রিকেট একটু ভিন্ন ধাঁচের। তরুণদের এই কন্ডিশনে খেলতে আসা উচিত, সেটা তাদের পারফরম্যান্সে উন্নতি আনবে। কারণ, বাংলাদেশের কন্ডিশনে খেলা খুবই কঠিন।”

মন্তব্য করুন: